আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের প্রতিবাদ করায় স্বামীর অন্ডকোষ টিপে ধরে হত্যার চেষ্টা ও ছেলেকে মারপিঠ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মেহেরপুর গ্রামের আব্দুল গফুর সরদারের ছেলে জাকির হোসেন সোবহান (৩০) সাংবাদিকদের জানান, ২০০৬ সালে একই গ্রামের সিদ্দিক বিশ্বাসের মেয়ে রেশমা খাতুন (২৪) এর সাথে ৬০ হাজার টাকা দেনমোহরে উভয় পক্ষের সম্মতিতে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক আমাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালভাবে সংসার চলে আসছিল। এরপর মহানুর সরদার (১০) নামের একটি সন্তান আমাদের ঘরে জন্ম নেয়। আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগ বুঝে আমার স্ত্রী একই উপজেলার চিংড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম সরদারের ছেলে মটর সাইকেল চালক রাসেল সরদার (৩০) এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তার প্রেমের সম্পর্কের কথা আমি জানতে পেরে স্ত্রীকে নিষেধ করি। তারপরও সে আমার কথা না মেনে তার ইচ্ছামত রাসেলের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে যেয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিছুদিন আগে রাত ৯ টার দিকে রাসেল আমার ঘরের ভিতর আমার স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় এলাকাবাসী ধরে ফেলে। এঘটনায় প্রতিবাদ করলে আমার স্ত্রী আমাকে ও আমার সন্তানকে মারপিঠ করে গুরুতর আহত করে।
বুধবার রাতে রাসেলের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় আমার স্ত্রীকে ধরে ফেলি। এনিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শুক্রবার দুপুরে আমার স্ত্রী আমার অন্ডকোষ টিপে ধরে আমাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় আমার ছেলে মহানুর সরদার ঠেকাতে আসলে তাকেও ইট দিয়ে মারপিঠ করে আঘাত করে। আমার ছেলে স্থানীয় চিকিৎসা নিয়েছে। এব্যাপারে সরাসরি রেশমা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি রাসেলের সাথে কোন পরকীয়া সর্ম্পক গড়ে তুলিনি। যৌতুকের দাবী এনে প্রায় সময় আমার স্বামী আমার উপরে চালান অমানষিক নির্যাতন।
শুক্রবার সকালে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবী এনে আমাকে ঘরের ভিতর আটকিয়ে একপ্রকার হত্যার চেষ্টা চালায়। স্বামীর অন্ডকোষ টেপার ঘটনা যেটা স্বামী বলেছে তা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। রাসেল সরদারের সাথে আমার পরকীয়া সম্পর্কের যে পরকীয়া প্রেমের কথা উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার স্বামী নিজেকে বাচানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অপপ্রচার ছড়িয়েছে। আমি বর্তমান কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছি। এর আগেও যৌতুকের দাবী এনে আমাকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল আমার স্বামী।