স্কুলছাত্রী অপহরণের ৬৬দিনেও উদ্ধার হইনি: মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি

25
অপহরণকারীর মূলহোতা আবু সুফিয়ান ও অপহৃত স্কুলছাত্রী রাবেয়া খাতুন

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার বহেরা এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী রাবেয়া খাতুন (১৭) কে অপহরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য আসামি ও তাদের লোকজন বাদী ও সাক্ষীদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এতে করে চরম নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কে দিন কাটছে অপহৃত ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের।

এঘটনায় দেবহাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে অপহৃত স্কুলছাত্রী রাবেয়া খাতুনের পিতা ফয়জুল্ল্যাহ মোল্যা।

অপহৃত ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা ফয়জুল্ল্যাহ মোল্যা জানান, দেবহাটা উপজেলার গোবরাখালি এলাকার আসাদুর রহমানের ছেলে ধর্ষণ, ছিনতাই, অপহরণসহ একাধিক অপকর্মের হোতা আবু সুফিয়ান প্রায়ই আমার মেয়েকে উত্যক্ত করতো।

এবিষয়ে স্থানীয় পর্যায়ে বিচার চাইলে তারা কারোর তোয়াক্কা না করে গত ২২শে ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া এলাকার হামিদ ঢালীর ছেলে সাইফুল ইসলাম, সাইফুলের স্ত্রী শিল্পী, দেবহাটা উপজেলার গোবরাখালি গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে আসাফুর রহমান ও একই এলাকার হায়দার আলীর ছেলে আবু জাহিদ পরিকল্পিতভাবে এবং আবু সুফিয়ানের নির্দেশে সদর উপজেলার দত্তবাগ এলাকা থেকে আমার মেয়েকে অপহরণ করে। এঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করলে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করলেও আসামীরা বর্তমানে উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছে। আসামীরা জামিনে থাকাই আবু সুফিয়ানসহ মামলার আসামীরা প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে। আমি যদি মামলা তুলে না নেই তাহলে তারা আমার মেয়েকে মেরে ফেলবে বলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে আমি প্রতিদিন পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। যেই আমাকে আশ্বস্থ করছে তার কাছেই ছুটে যাচ্ছি। তবে দুঃখের বিষয় আমার মেয়ে অপহরণের দুইমাস অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনসহ কেউ আমার মেয়ের সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। আমি জানিনা আমার মেয়েকে আমি আদৌ ফিরে পাবো কিনা?

এবিষয়ে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, অপহরণের মামলার বাদীকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় দেবহাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে ভুক্তভুগী ফয়জুল্লাহ মোল্লা। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাতক্ষীরা সদর সার্কেল) মীর্জা সালাউদ্দীন বলেন, ওই মামলার ২ আসামী জামিনে থাকায় তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছিনা। ওই আসামীদের জামিন জামিন বাতিল হলে আমরা তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। এছাড়া আমরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি।