উদ্দেশ্য ছিলো লেখাপড়ার মানোন্নয়ন হবে, আসবে গতিশীলতা। কিন্তু, গত দেড় বছরে সেই সুফল পাবার বদলে, শিক্ষাজীবন নিয়ে হতাশায় ডুবেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হওয়া ঢাকার সাত কলেজের প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থী। সময়মতো পরীক্ষা ও ফলাফলের অনিশ্চয়তায় কয়েক বছরের সেশনজটে আটকা পড়েছে তারা। ফলে অনার্স, মাস্টার্স ও ডিগ্রির প্রতিটি বর্ষে ঝুলছে দুটি করে ব্যাচ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের পরীক্ষার রুটিনের দাবিতে, গেলো বছরের ২০ জুলাই শাহবাগে আন্দোলনে নেমেছিলেন শিক্ষার্থীরা। সেই মিছিলে পুলিশের টিয়ারসেলের আঘাতে দু’চোখের আলো নিভে যায় তিতুমীর কলেজের এক শিক্ষার্থীর।
ব্যাপক আন্দোলনের পর গেলো বছরের ১৭ নভেম্বর ঝুলে থাকা ৯টি পরীক্ষার মধ্যে ৬টির সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যার মধ্যে ৪টি পরীক্ষা হয়েছে সময়মতো।
আর, চলতি বছর মার্চের প্রথম সপ্তাহে মাস্টার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষা হবার কথা থাকলেও, ফের নতুন তারিখ দেয়া হয়েছে ২৮ জুলাই। আর, অনার্স ৩য় বর্ষের পরীক্ষা গেছে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। অন্যদিকে, মে মাসের পরিবর্তে ডিগ্রি ২য় ও ৩য় বর্ষের পরীক্ষা পিছিয়েছে আগস্টের ১ম ও ২য় সপ্তাহে। এছাড়া, ডিগ্রি ১ম বর্ষের পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্তই হয়নি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এমনইভাবে সময়মতো পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ না হওয়ায় দেড় বছরের সেশনজটে বন্দি প্রায় আড়াই লাখ ছাত্রছাত্রী। সাত কলেজের সমন্বয়কের দায়িত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ডিন। তিনি বলছেন, সেশনজট নয়, মান্নোয়নে সময় লাগছে।
এই শিক্ষাবিদের মতে, অধিভুক্ত সাত কলেজের ভবিষ্যত নিয়ে নতুন করে ভাবা প্রয়োজন।
ক্ষতি যা হবার হয়েছে। শিক্ষার্থীদের চাওয়া, পরীক্ষার মতো ন্যায্য অধিকার আদায়ে আর যেনো রাজপথে নামতে না হয়, বরণ করতে না হয় সিদ্দিকুরের ভাগ্য।
সৌজন্যে: চ্যানেল ২৪