ষ্টাফ রিপোর্টারঃ সাতক্ষীরার দেবহাটায় উত্তর পারুলিয়ার মফিজতুল্লাহর ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী মুনছুর আলী পৈতৃক জমি হারিয়ে পথে পথে ঘুরছেন । তার অভিযোগ পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত তার ও তার ভাই আনছার আলির জমির জাল দলিল করে নিয়েছে এলাকার কয়েকজন ভ‚মিদস্যু। তিনি তাদের থাবা থেকে তাদের জমি উদ্ধার করতে পারছেন না বলে জানান।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রতিবন্ধী মুনছুর আলী। তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান তার বাবার মৃত্যুর পর তিনি ও তার ভাই আনছার আলি এসএ খতিয়ান ১২৩৬ এর দাগ নম্বর ২৫৬৪/ ২৫৬৫/ ১৯৬৪/ ১৯৭০/ ৩৪১২/ ৩৪১৪/ ৩৪২৪/ ৩৫৪৪/ ৩৫০৬ দাগে ৪.২২ শতক জমির মধ্যে ২.৪০ শতক জমি প্রাপ্ত হন। এই জমির মধ্যে কিছু জমি বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু দেবহাটা এলাকার আবদুল কাদের, দিদার বকস, সহিদুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মোমেনা খাতুন, রোকেয়া খাতুন, সুফিয়া খাতুন এদের পিতা মাজার গাজী, খেজুরবাড়িয়ার মুনসুর গাজি, হাবিবুর রহমান, সখিপুরের আবুবকর, সিরাজুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম উরফে চিটার হাজী, খেজুরবাড়িয়া গ্রামের অজিহার রহমান, আবদুল মজিদ, রফিকুল ইসলাম ওই জমি জোর করে দখল করে নেয়। পরে তারা জাল দলিল খাড়া করে।
এ ঘটনায় মুনছুরের ভাই আনছার আলী বাদি হয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। যার নম্বর ১৩৪/১৮। আদালত উক্ত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৪৫ ধারা জারি করেন। শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য আদালত দেবহাটার ওসিকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও দেবহাটার এসিল্যান্ড কোনো প্রতিবেদন জমা দেননি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসের নায়েব আবদুল বারী রিপোর্ট দিতে পারবেন না বলে তাকে হাকিয়ে দেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানালে তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর কাছে যাবার কথা বলেন। কিন্তু তিনি বলেন ভ‚মি অফিস তদন্ত প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত কিছু করা সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন আমার পিতার রেখে যাওয়া পারুলিয়া মৌজায় ৫২ দাগে ১২ শতক, ২৮ দাগে ২ শতক জমি আবুলের ঘেরের ভিতরে আছে। এছাড়া এই জমির আরও তিনটি দলিল নুরুল হুদার কাছে আছে। যার তিনটি দলিল এর মধ্যে ২টি নলতার মাগুরালির আরশাদ বিশ্বাসের নামে। যাতে ঈদগাহ ও একটি মাদ্রাসা আছে। প্রতিবন্ধী মুনছুর আলি বলেন আমি গরিব মানুষ। আমার পৈতৃক সম্পত্তি হারিয়ে পথে পথে ঘুরছি। আমি জমি ফিরে পাবার জন্য ভ‚মি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। এই আবেদনে সুপারিশ করেছেন সাতক্ষীরা ৩ আসনের ডা. আফম রুহুল হক এমপি, সাতক্ষীরা ১ আসনের এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। তা সত্তে¡ও কোনো কাজ হয়নি। মুনছুর আলী এ ব্যাপারে প্রধান মন্ত্রী সহ সাতক্ষীরার ডিসি ও এসপির দৃষ্টি আকর্ষণ করে এর প্রতিকার দাবি করেছেন। তিনি বলেন আমি আমার পৈতৃক জমি ফেরত চাই।