সাতক্ষীরা পার্সপোর্ট অফিসের ঘুষ ও দূনীতি চরমে পৌঁছেছে। দালালের মাধ্যমে চুক্তিতে গেলে সেখানে কোন ঝামেলা হয় না। আর দালাল ছাড়া গেলে সেখানে ঝামেলার আর শেষ থাকে না।
দালালরা পুরো পাসপোর্ট অফিস জিম্মি করে রেখেছে। তাদের মাধ্যমে পার্সপোর্ট না করলে সাধরণ মানুষ পাসপোর্ট করতে পারে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, কাগজপত্র সব কিছু ঠিকঠাক করে গেলে প্রথমে হেল্প ডেস্ক থেকে বলবে আপনার ফরমে ভুল আছে। কোথা থেকে ফরম পুরন করেছেন। তারা একটি নিদিষ্ট জায়গা দেখিয়ে বলবে ওখানথেকে করে নিয়ে আসেন।
সেখানে ফরম পুরণ করতে গেলে তিন থেকে চারশত টাকা দিয়ে ফরম পুরন করতে হয়। এরপর সেখানে গেলে দালাল বা অফিসের পিয়ন দেখিয়ে বলবে উনাদের সাথে কথা বলেন। তাদের সাথে কথা বললে পাসপোর্ট প্রতি ১০৫০ টাকা খরচ হিসেবে নেওয়া হয়। যারা নগদ টাকা দিতে পারবে তাদের পাসপোর্টের সমুদয় কাজ পাঁচ মিনিটের মধ্যে হয়ে যায়। আর যারা টাকা দিতে না পারবে তাদেরকে দিনের পর দিন ঘুরতে হয়।
শহরের মুনজিতপুর গ্রামের আমিনুর রহমান জানান, তিনি তার চাচির জন্য সোমবার সকালে পাসপোর্ট করতে গেলে নানা ভাবে হয়রানির শিকার হন। তিনি বলেন পাসপোর্ট অফিসের নিয়োগকৃত দালালের মাধ্যমে আসলে তাদের পাসপোর্ট তাড়াতাড়ি হয়। আর যারা দালালের মাধ্যমে আসেনা তাদেরকে নানা ভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। যারা এডির দালালের মাধ্যমে আসেন তাদের সব্বোর্চ সময় লাগে পাঁচমিনিট। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসে টাকা দিলে সব হয়।
আশাশুনি উপজেলার আতিকুর রহমান জানান, তিনি আড়াই মাস আগে পাসপোর্ট করেছেন। তিনি এখনও পাসপোর্ট হাতে পাননি। তিনি দালালের মাধ্যমে বাড়তি টাকা দিয়ে পাসপোর্ট করেছিলেন যাতে পাসপোর্টটি দ্রুত পান। এখন নিয়োগকৃত দালালরা বলছে পাসপোর্ট দ্রুত নিতে গেলে আরও এক হাজার টাকা বাড়তি দিতে হবে। এই টাকাটা দিলে দ্রুত কথা বলে পাসপোর্ট এনে দেওয়ার ব্যাবস্থা করবেন।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান জানান, আমরা পাসপোর্ট অফিস মনিটরিং করছি। সুনিদিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো: আবু সাঈদ জানান, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। দালালরা টাকা নিলে তার কিছুই করার থাকে না বলে তিনি আরো জানান।