সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফোন ব্যবহার করে তুলছে সেলফি!

564

নিজস্ব প্রতিনিধি : নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মাদ্রাসা চলাকালে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে শিক্ষার্থীরা।সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফোন ব্যবহার করে তুলছে সেলফি, শিক্ষকরা দেখেও না দেখার ভান করে আছে। ক্লাসে ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা তা অমান্য করে শিক্ষকদের সামনেই তুলছে সেলফি। মাদ্রাসা চলাকালিন সময় এমন ছবি তুলে সামাজিক ম্যাধমে ছাড়ে শিক্ষীর্থীরা।

শুধু শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষকদেরও শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও বহু শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে মোবাইল বন্ধ রাখছেন না। মোবাইলে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে গল্প-গুজব থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত কাজ, বাড়িতে কী রান্না হচ্ছে, কী ঘটছে সমস্ত খবরই নেওয়া হচ্ছে। শুধু কি তাই? কেউ কেউ প্রাইভেট ছাত্র-ছাত্রীর নানা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন, কবে, কখন পড়তে আসবে, তাও বলে দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে শিক্ষক যদি চেয়ারে না বসে দাঁড়িয়ে পাঠদান করেন, তাহলে তিনি অনায়াসেই লক্ষ্য রাখতে পারবেন, শ্রেণিকক্ষের ভেতরে শিক্ষার্থীরা কী অঘটন ঘটাচ্ছে।

যে শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে বসে পাঠদান করেন, তার ক্লাসে বিশৃঙ্খলা বেশি হয়। তাই শিক্ষক যদি দাঁড়িয়ে পাঠদান করেন, তাহলে তিনি সমস্ত ক্লাসরুমকে নিজের দৃষ্টির আয়ত্তে এনে শ্রেণিকক্ষের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারবেন।

কথিত আছে, একদা এক পিতা তার পুত্র যেন মিষ্টি না খায়, সে উপদেশ দেওয়ার জন্যে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর কাছে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু নবীজী তখনই তাকে কোনো উপদেশ না দিয়ে সাতদিন পর আসতে বললেন। কারণ তিনি নিজে মিষ্টি খুব পছন্দ করতেন। তিনি নিজে যে জিনিস খেতে পছন্দ করেন, সে জিনিস অন্যকে ছাড়ার উপদেশ দেবেন কেমন করে? তাই তিনি প্রথমে মিষ্টি খাওয়া ছেড়েছেন। তারপর ছেলেটিকে উপদেশ দিয়েছেন। যেসব শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তাদের এ গল্প থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

কোনো শিক্ষক নিজে শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার না করার উপদেশ দিলে শিক্ষার্থীরা সে উপদেশ মানতে চাইবে না। শিক্ষকতা পেশায় যারা আসবেন, তাদেরকে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের আদর্শ হতে হবে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়কেই মোবাইল ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।