স্টাফ রিপোর্টার: বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক ও সীমান্ত রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি শুরু করেছে সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য বদরুজ্জামান খোকা।
তার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বাঁশদহা ইউনিয়নের আপামোর জনসাধারণ। কেউ যদি তার দাবিকৃত টাকা দিতে রাজি না হয় তবে সে তাদেরকে গ্রামছাড়া, দেশছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম হয়রানিমূলক সংবাদ প্রকাশ করছে।
বদরুজ্জামান খোকার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে বাঁশদহা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল খালেক বলেন, বদরুজ্জামান সাংবাদিক হয়েছে কি না তা আমি জানিনা। ও আমাকে মোবাইলে বলছে আমি সাংবাদিক আমার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমি বললাম কি খেয়াল? তখন সে বলে, আপনি খাটাল মালিক খাটালে গরু আসলে আমাকে গরু প্রতি টাকা দিতে হবে। আমি বললাম কিরাম টাকা দিতে হবে? ও আমার বলে গরু প্রতি আমাকে ১০০ টাকা করে দিতে হবে। আমি তখন বললাম এটাকি চাঁদাবাজি? তখন সে বলে যা বলবেন তাই। আমি সরকারীভাবে কাগজ করে, লাইসেন্স করে ব্যবসা করি। গরুপ্রতি ১০০ টাকা দিতে হবে মানেতো চাঁদাবজি। ও বলছে যা বলবেন তাই। তখন আমি বললাম আমি কারো চাঁদা দিতে পারবো না। এখন কোন সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে এমন কোন কথা এমন কথা পর্যন্ত বলেনি। তখন খোকা বলে আমি এমন লেখা লেখবো তোকে গ্রাম ছাড়া করবো, দেশছাড়া করবো। আমি তখন বললাম, ৫ বছর মেম্বারি করেতো খেয়ে হয়নি। তাই মিথ্যাভাবে সে আমার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত মিথ্যা নিউজ করছে।
এদিকে গত ২১ আগস্ট স্থানীয় একজনের কাছ থেকে ২০০ টাকা নিয়ে সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য আলমগীর হোসেনের নামে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। ওইদিন সন্ধায় মেম্বর আলমগীর হোসেন তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে বদরুজ্জামান খোকার ছবি সংবলিত একটি পোস্ট দেন।
ওই পোস্টে আলমগীর মেম্বর লেখেন,‘বিশিষ্ঠ মাদক ব্যবসায়ী, জনপ্রত্যাখাত সাবেক ইউপি সদস্য, বাঁশদহা মাদ্রাসার ক্লাক, বহুনারী কেলেঙ্কারির হোতা, বাঁশদহা ইউনিয়নের সাবেক গম, চাউল, ও টিন চোর সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান খোকা হলুদ সাংবাদিকতা করা ধরেছে।
আপনারা তার মতো দেশদ্রোহী হলুদ সাংবাদিকের থেকে সাবধান থাকবেন।’ তার অপসাংবাদিকতার হাত থেকে পরিত্রানের আশায় সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভূগীরা।