মো: আজিজুল ইসলাম(ইমরান):
সাতক্ষীরার র্যাবের সোর্স কর্তিক মিথ্যা তথ্য দিয়ে এক নীরিহ পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। গত ১আগষ্ট দিবাগত রাত অনুমানিক ২টা বেজে ৩০ মিনিটে সাতক্ষীরার পলাশপোলে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার পলাশপোল গ্রামের মৃত নওসের আলীর ভাড়াকৃত বাড়িতে। নওসের আলীরা ছেলে আশরাফুল হক দোলন সাংবদিকদের জানান রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় কিছু লোক তার বাড়ির দরজায় ধাক্কা দিতে থাকে এবং সদর দরজা খুলতে বলে। তারা নিজেদের র্যাব বলে পরিচয় প্রদান করে। তারা বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে আপনার বাড়িতে ৮টি বিদেশি বন্দুক,গুলি ও ৩৫টি গ্রেনেড বোমা আছে। দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় তারা বাড়ির জানলা ধরে ধাক্কা দিতে থাকে। দরজা খোলার পর তারা ভেতরে প্রবেশ করে তার ভাড়াকৃত বাড়ির সব কক্ষ সার্চ করতে চায়। এই সময় আশরাফুল হক দোলনের স্ত্রী তাদের কাছে কোন সার্চ ওয়ারেণ্ট আছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলে র্যাবের কোন বাড়ি তল্লাসিতে কোন সার্চ ওয়ারেণ্ট প্রয়োজন হয় না। আশরাফুল হক দোলনের স্ত্রী জানান তাদের ঘরে মোট ৭ জন র্যাব এর পোষাক পরিহিত ব্যক্তি প্রবেশ করে সব কয়টি ঘর সার্চ করে। এক পর্যায়ে তারা কিছু না পেয়ে,রাত্রিবেলা তাদের বড়িতে সার্চ করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে। তারা আরও বলে তাদের কাছে কেউ ভুল তথ্য দিয়েছিল। কথোপকথনের এক পর্যায়ে তাদের কোন শত্রু আছে কিনা জানতে চায় এবং একটি ফোন নম্বার ও ভয়েস রেকডিং শোনায়। এই ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেলে তাদের খরব দেওয়ার কথা বলে তারা চলে যায়। বাড়ির মালিক মুজিবর রহমান সকালে ০১৭৮৪৩৪৫০৩৬ ফোন নম্বর ও কণ্ঠটি চিহ্নিত করে বলেন এটা নূর ইসলাম লালটুর ফোন নম্বার। সে মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। বেলা ১২টার দিকে আশরাফুল হক দোলন এলাকর মানুষের সহযোগিতায় নূর ইসলাম লালটুকে ধরে নিয়ে তার বড়িতে আটকে রাখে র্যাবকে খবর দেয়। বেলা ১টার দিকে এস আই শামীম এর নেতৃত্বে ৮ সদস্যের র্যাবের একটি টহল দল নূর ইসলাম লালটুর ষ্টেটমেণ্ট নিয়ে তাকে আটক করে নিয়ে যায়। তিনি পুনরায় ভুল তথ্যে বিত্তিতে এক জন নিরিহ মানুষের বাড়িতে তল্লাসির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহনের করা হবে বলে সাংবাদিকদের আশ^স্থ করেন। এলাকাবাসীদের কাছ থেকে জানা যায় নূর ইসলাম লালটু নিজে মাদকাসক্ত। সে ইতিপূর্বে এই ধরনের ঘৃন্ন কাজ অনেক বার করেছে। সে নিজেকে র্যাবের সোর্স বলে দাবি করে এই ধরনের অপকর্ম করে থাকে। এই ধরনের কাজের জন্য গত রমজান মাসের আগেও এক বার পুলিশ তাকে আটক করেছিল। কিন্তু সে কৌশলে বের হয়ে পুনরায় এই ধরনের কাজ করে বেড়াচ্ছে। এলাকাবাসী তার দৃষ্টান্তমূলক শস্তি দাবি করেন।