মোঃ আজিজুল ইসলাম(ইমরান) সদর প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরায় রুমন বেকারিকে এক লক্ষ্য টাকা জরিমানা করা হয়েছে । সোমবার বেলা ১২টার সময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আসফিয়া সিরাত এর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে এই জরিমানা করা হয়।
সাতক্ষীরা সংগীতা সিনেমা হলের পিছনে অবস্থিত রুমন বেকারিতে স্বরজমিনে দেখা যায় এখানে তৈরিকৃত পাওরুটি,বিস্কুট ,কেক,ক্রিম পাওরুটি,ক্রিম রোল ,ড্রাইকেক,লাড্ডুতে মেশানো হচ্ছে নানা ধরনের ক্ষতিকারক কৃত্রিম রং ও সেন্ট। এই সব রং সাধারণত কাপড়ে ব্যবহার হয়।
তাছাড়া এই রং ও সেণ্ট কোনটিই ফুট গ্রেডের না। সকল রকম নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে দীর্ঘদিন যাবৎ এই ধরনের ভেজাল খাদ্য দ্রব্য তৈরি করছিল প্রতিষ্ঠান টি । শুধু তাই নয় এখাননে গিয়ে দেখা যায় নানা ধরনর বাতিল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ বাসি,পচা,গন্ধ পাওরুটি,বিস্কুট ,কক,ক্রিম রোল ,ড্রাইকেক ,লাড্ডু পুনরায় মশিনে ফেলে নতুন খামির সাথে মিশিয়ে খাবার তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া এখানে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রাখা ২০০ প্যাকেট পাওরুটি, ১৫০ প্যাকেট টোষ্ট ,২৮০ প্যাকেট কেক জব্দ করা হয়, যে প্যাকেট গুলোতে কোন মেয়াদ ছিলনা।
এই বিষয় জানতে চাইললে প্রতিষ্ঠানের মালিক শরিফুল ইসলাম জানান এই ধরননের খাবারে তারা সাধারণত কোন মেয়াদ দেন না। তাছাড়া এখানে আটককৃত কাপড়ে ব্যবহৃত রং ও সেন্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন তারা সাধারণত এই ধরনর কমদামের রং ও সেন্ট ব্যবহার কররে থাকে, তবে এর পাশ্ব-প্রতিক্রয়া সম্পর্কে তার কোন ধারণা নেই । স্থানীয়দের কাছ থেকে আরও জানা যায় এর আগেও কয়েক বার এই প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের জরিমানা করা হয়ছে।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আসফিয়া সিরাত এই সময় ভোক্তা আধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫৩ ধারায় তাকে ১০০০০০ টাকা জরিমানা, অনাদায় ৩০দিনের জেল ও তার থেকে মুচলেকা আদায় করেন। এই বিষয় জানত চাইল নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আসফিয়া সিরাত বলেন এখানে যে কৃত্রিম রং ও সেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছিল তা মানব দেহের জন্য অত্যাধিক ক্ষতিকারক । এই ধরনের অপদ্রব্য খাওয়ার ফলে আমাদের ক্যান্সার সহ নানা রকম রোগ হতে পারে জব্দকৃত রং,সেন্ট খাবার এই সময় নষ্ট করা হয়।
এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট স্বজল মোল্লা ও সেনেটারি ইনসপেক্টর রোথিদ্র নাথ, বাবলু,সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম সহ উৎসুক সাধারণ মানুষ।