আজিজুর রহমান / সোহানা ফেরদৌসি সুইটি: সাতক্ষীরায় প্রায় ৩শ বিঘা জমিতে গড়ে উঠেছে মোজাফ্ফার হোসেন মন্টু মিয়ার মোজাফ্ফার গার্ডেন নামক বিনোদন পার্ক। পার্কটি মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ি হিসাবেও পরিচিত। পার্কটিতে স্থানীয়সহ আশ-পাশের দর্শনার্থীদের আগমন শুরু হয়েছে। জানাগেছে ২০০৭ সালে মোজাফ্ফার গার্ডেন / মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ি নামক পার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
মন্টু মিয়ার বাগান বাড়িতে রয়েছে অত্যাধুনিক আবাসিক হোটেল, চিড়িয়াখানাসহ শিশুদের বিনোদনের সামগ্রী। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে পারছেন স্থানীয়সহ আশ-পাশের দর্শনার্থীরা।
আর কিছুদিন পর থেকেই দেশী-বিদেশী দর্শনার্থীরা পার্কটিতে আনন্দ উপভোগ করার জন্য ভিড় জমাতে শুরু করবে। চৌগাছা, ঝিকরগাছা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মুজিবনগর, টুঙ্গিপাড়া, কালিগঞ্জ, যশোর, মণিরামপুর, কেশবপুর, বাঘারপাড়া, অভয়নগর, খুলনা, কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, সীমাখালী, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নারী পুরুষ, কিশোর-কিশোরীরা বাগান বাড়িতে ঘুরা ঘুরি করে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠে। বাগান বাড়িতে রান্না করে অনেকেই আনন্দতে উল্লাসে মেতে ওঠে।
কেউ তোলে ছবি, কেউ করে রান্না, আবার কেউ কেউ নাচ গান করে আনন্দ পায়। এখানে রয়েছে কুমির, বাঘ, ভাল্লুক, ঘোড়া, মূর্তির তৈরি হাতি, অজগর সাপ, শকুন, হরিণ, জেব্রা, পাকিস্তানি পাখি, দেশি পাখি, কবুতর, টিয়া পাখি, ময়না পাখি, বিদেশী কুকুর, বানর, হনুমান, শুরুস, খরগস, বিড়ালসহ অসংখ্য ফুলবাগান। এছাড়া কিশোর কিশোরীদের জন্য রয়েছে, নাগোর দোলা, চরকা, বোড। স্থানীয়সহ আশ-পাশের দর্শনার্থীরা জানান, মন্টু মিয়ার বাগান বাড়িতে আসতে পেরে আমরা ধন্য হয়েছি। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঘুরার পর আনন্দে মেতে উঠে সকল বয়েসের মানুষ। তালা থেকে আসা মণিরুল ইসলাম জানান, এর আগেও আমি এই পার্কটিতে এসেছিলাম। মন ভালো নেই তাই একটু আনন্দ উপভোগ করতে এখানে এসেছি। ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক, কার্ত্তিকসহ অনেকেই জানান, প্রতিবছরে মন্টুমিয়ার বাগান বাড়িতে আমাদের ব্যবসা ভালো হয়ে থাকে। এবছরে স্থানীয়সহ আশ-পাশের দর্শনার্থীদের আগমন শুরু হয়েছে।
আর কয়েকদিন পর থেকেই দেশী-বিদেশী দর্শনার্থীরা এখানে ভিড় জমাতে শুরু করবে। মোজাফ্ফার গার্ডেনের ম্যানেজার আতিকুল ইসলাম আতিক বলেন, প্রায় ৩শ বিঘা সম্পত্তির উপর বিনোদন গার্ডেন ২০০৭ প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে দেশ ও বিদেশের দর্শনার্থীরাও আনন্দ উপভোগ করতে আসেন। এখানে এসি-ননএসি আবাসিক হোটেল রয়েছে। আমরা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে এই পার্কটি পরিচালনা করি।