বকচরা,পরাণদহ সংবাদদাতাঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১০নং আগরদাড়ী ইউনিয়ানের বকচারা গ্রামের মৃত মমিন মালীর ছেলে মোঃ জামাত মালী। সাতক্ষীরার রাজপথ কাপানো এই আওয়ামীলিগ নেতার দিন কাটে এখন চরম অবহেলিত ও নিরাপত্তাহীনতায়। তিনি ও তার পরিবারবর্গ আওয়ামীলিগের রাজনিতির সাথে উৎপ্রতভাবে জড়িত। ১৯৯৮ সালে তিনি সাতক্ষীরা জেলা রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক সমিতির প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সাতক্ষীরা থানার সভাপতি, এবং বাস্তহারালীগ এর সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের কার্য নির্বাহি কমিটির কেন্দ্রিয় সদস্য ও সাতক্ষীরা জেলার সাধারন সম্পাদক পদে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছের।
তিনি বিগত ২৮/০২/২০১৩ তারিখে যুদ্ধাপরাধ ওও মানবতা বিরোধী অপরাধে জামাতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাইদির ফাসীর রায় কে কেন্দ্র করে জামাত বিএনপি জোটের নেতৃত্বে সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপি সহিংস নাশকতা মূলক কর্মকান্ড শুরু হলে তিনি তার কর্মীদের নিয়ে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজ মোড় থেকে বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ পুলিশ প্রশাসন কে সহযোগিতা করেন।
তিনি আওয়ামী বাস্তহারালীগ এর সভাপতি থাকাকালে বিএনপি জামাত জোটের নেতৃত্বে সরকার বিরোধী কার্যকলাপ এর বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ ও দলীয় কর্মসূচী পালন করেছিলেন। ২০১৩ সালে ৩১ জানুয়ারি তার নেতৃত্বে সাতক্ষীরা শহীদ আঃ রাজ্জাক পার্কে জামায়াতের কর্মসূচি বানচাল করে প্রতিবাদ পূর্বক পাল্টা কর্মসূচি পালন করেন। এসময় তৎকালিন সাতক্ষীরার এসপি আসাদ সাহেব, খুলনা র্যাব-৬, বিভিন্ন মিডিয়া, গোয়েন্দা সংস্থা ও সাতক্ষীরা জেলার মুক্তিকামী জনতা তার কর্মকান্ডে প্রসংশা করেন।
সারাজীবন নিঃস্বার্থভাবে দলীয় বিভিন্ন কর্মকান্ডে নির্ভিক সৈনিকের মত অগ্রণী ভূমিকা পালন করা স্বত্বেও এক শ্রেণীর ক্ষমতালোভী ও স্বার্থান্বেষী কু-চক্রীমহল ঈর্ষানীত হয়ে গোপনে জামাত ও বি এন পির সাথে আতাত করে সর্বদা এই ত্যাগী নেতাকে দাবিয়ে রাখার অপ-কৌশলে লিপ্ত আছে। দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে ২০০১ সালে বিএনপি জামাত ক্ষমতায় গেলে তাকে নির্যাতনের কারনে ঘর ছাড়তে হয়।
বিগত ইং ২৪/০৭/২০০৪ তারিখ হতে বিভিন্ন মিথ্যা মামলার শিকার হন। বিএনপি জামাত জোটের চক্রান্তের শিকার হয়ে তাকে ছিনতাইকারি ও দস্যু সাজিয়ে পুলিশী হয়রানি সর্বোপরি ক্রস-ফায়ারের আসামীতে পরিণত করার চেষ্টায় সর্বদা লিপ্ত আছে। তাকে ফাসানোর জন্য সাতক্ষীরা যুবদলের সদস্য নাশকতাসহ একাধিক মামলার আসামি আসাদুর রহমান সাতক্ষীরা থানার মামলা নং ০১ তাং ০১/০৮/২০১৬ ইং জিআর নং ৪০৫/১৬(সাতঃ)মামলায় গ্রেফতার পূর্বক ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার সময় ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে জামাত মালীর নামও উল্লেখ করে জবানবন্দি দেয় এভাবে তিনি একাধিক মিথ্যা মামলার শিকার হন।
মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিপীড়নমূলক পুলিশি হয়রানি বন্ধে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলে তার বিষয়ে তদন্ত করতে বললে সাতক্ষীরা জেলার বিশেষ শাখার মাধ্যমে ০৬/০৮/২০১৭ ইং তারিখে ৪১৫৪(২) স্মারকে একটি তদন্ত প্রতিবেদন পাঠান হয় কিন্ত এখনো পযন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি যার কারনে আওয়ামিলীগের এই ত্যাগী নেতাকে নিরাপত্তাহীনতা ও অসংখ্য মিথ্যা মামলার ঘাণী টানতে টানতে অর্থ সম্পদ হারিয়ে সহায়-সমাবলহীনাবস্থায় দেউলিয়া হয়ে মানবেতর জীবন যাবন করছে।
সারারাজীবন রাজনিতি করেও স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মাথা গোজার ঠাই নেই এই ত্যাগী নেতার। অস্বাস্থ্যকর একটি তালপাতা ও টিনের জীর্ণ কুঠিরে কোন রকম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। হয়ত এভাবে ধুকে ধুকে জীবন যুদ্ধে হেরে নিরবে চলেযাবেন অভিমানি ত্যাগী এই মুজিব আর্দশের সৈনিক। তিনি চরম মনোকস্ট নিয়ে বলেন যাহাতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করেন প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সেই দাবী জানান।