এম এম নুর আলম, আশাশুনি : আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের কৃতি সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মোঃ মোজাম্মেল হক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি …রাজিউন)। ১০দিন আগে তিনি ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাকে রাজধানী ঢাকা আগারগাঁওয়ের নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। অধ্যাপক হক একমাত্র পুত্র মোস্তফা মেহের (টিটো), কন্যা ইশমাত শাহীন (বীথি) ও স্ত্রী রাশিদা হক সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। কর্মজীবনে তিনি সাতক্ষীরা পিএন হাইস্কুল এবং খুলনা বিএল কলেজেও শিক্ষকতা করেছেন। এছাড়াও তিনি আমৃত্যু পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক মানের জার্নাল অফ বোটানি সম্পাদনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। অধ্যাপক হক সপরিবারে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় বাস করতেন। তিনি ছিলেন একজন প্রথিতযশা উদ্ভিদবিজ্ঞানী ও গবেষক। তিনি দীর্ঘকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অধ্যাপনা করেছেন। উদ্ভিদ প্রজনন বিদ্যা ও জীবপ্রযুক্তি নিয়ে দেশ-বিদেশে তার অসংখ্য আন্তর্জাতিকমানের গবেষণা রয়েছে। অনেক গবেষণা পত্রিকার দক্ষ সম্পাদকও ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অসা¤প্রদায়িক বাঙালি জাতিয়তাবাদের একজন শক্তিশালী ধারক ও বাহক। তার মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, উদ্ভিদবিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারে ও গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। শোকবার্তায় উপাচার্য তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এদিকে তার মরদেহ দাফনের জন্য স্বজনরা লাশ নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি কাদাকাটির উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন বলে এরিপোর্ট লেখাকালে জানাগেছে। সেখানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতার কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানাগেছে।