সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন

143

জুলফিকার আলী, কলারোয়া প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় এবার কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিভিন্ন কাঁঠাল বাগান ও বসতভিটায় লাগানো কাঁঠাল গাছগুলোতে কাঁঠালে ভরে গেছে।

কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মহাসীন আলী জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার গাছে ব্যাপক হারে কাঁঠাল ধরেছে। মৌসুমের শুরু থেকে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাতের কারণে এবার কাঁঠাল ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে সবজি হিসেবে বাজারে কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। আবার কিছু এলাকায় পাকা কাঁঠাল উঠতে শুরু করেছে।

জানা গেছে, কাঁঠাল উৎপাদনে কোনো খরচ না থাকায় চাষীরা লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন। কলারোয়া উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রচুর কাঁঠাল রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে বলে আশা করছেন কাঠালগাছ মালিক ও চাষীরা। তিনি আরো জানান, কাঁঠালের একটি বড় গুণ হলো এর কিছুই ফেলে দেওয়া লাগে না। কাঁঠালের বিঁচি বা আটি এবং কাঁচা কাঁঠালের মোচা দিয়ে তরকারি রান্না করে খাওয়া যায়। কাঁঠালের খোলস ও পাতা গরু-ছাগলের প্রিয় খাবার। এ ছাড়া কাঁঠালের কাঠ থেকে আসবাবপত্র তৈরি করা ভালো হয়। প্রবীণ কয়েকজন ব্যক্তি জানান, আঠালো এই ফলটি বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে। তবে স্বাদে অনন্য।

এ ছাড়া কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাকা কাঁঠালে ১ দশমিক ৮ মিলিগ্রাম প্রোটিন, দশমিক ৩০ মিলিগ্রাম ফ্যাট, ২৬ দশমিক ১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম লৌহ, দশমিক ১১ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ রয়েছে। তাছাড়া কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি ও ই রয়েছে। এছাড়া পাকা কাঁঠালের বিচি দিয়ে সুস্বাদু তরকারি রান্না করা হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মহাসীন আলী আরো জানান, কলারোয়া উপজেলায় এবছর কাঁঠালের ফলন ভাল হয়েছে। বসতভিটা, ব্যক্তি মালিকানাধীন বাগান, বিভিন্ন সড়কের পাশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কাঁঠাল গাছ রয়েছে। কাঁঠাল চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সারা বছর যাতে কাঁঠালের চাষ করা যায় তার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।