সবুজায়ন বৃদ্ধিতে নগরীতে ‘সবুজের ফেরিওয়ালা’

39
সবুজের ফেরিওয়ালা

কমছে সবুজের সমারোহ। বাড়ছে তাপমাত্রা। দূষণের দুষ্টচক্রে নাভিশ্বাস নগরবাসীর। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে গাছ নিয়ে অভিনব প্রচারণা চালাচ্ছেন কেউ কেউ। সবুজায়ন বৃদ্ধি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ লাগানোর আহ্বান জানানো ব্যতিক্রমী মানুষদের নিয়ে আজকের প্রতিবেদন।

সবুজের ফেরিওয়ালা।

নগরীর পথে পথে নিরন্তর ছুটে চলা। নিজের স্কুটিতে গাছ এবং গাছ লাগানোর বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে অভিনব প্রচারণা চালান তিনি। হঠাৎ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে গাছ লাগানোর জন্য পথসভাও করেন। বৃক্ষ-প্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুর রহমান প্রায় ১৫ বছর ধরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে গাছ লাগিয়ে বেড়ান।

মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুর রহমান বলেন, পোস্টার না লাগিয়ে ওই টাকা দিয়ে গাছ লাগিয়ে দেন। একদিন দিয়ে দারিদ্র মোচন হবে। আরেক দিকে সবুজ বাংলা গড়া হবে। কত গলি আছে ওই গলিতে ওষুধের গাছ ছায়া জাতীয় গাছ লাগানো যেতো। তাহলে মানুষ হেঁটে হেঁটেই অনেক দূর যেতো।

ব্যতিক্রমী সিএনজি নিয়ে তপন ভৌমিকের পথচলা। সিএনজির ছাদ-জুড়ে নানা রকম সৌন্দর্যবর্ধক গাছ। যেন একটুকরো ভ্রাম্যমাণ বাগান। গাছকে ভালোবেসে এমন সৌন্দর্যের আঁধার ফুটিয়ে তুলেছেন শৌখিন এই চালক।

তপন ভৌমিক বলেন, এতে ভেতরে যাত্রীদের ঠাণ্ডা লাগে। রোদের তাপ যেনো তারা না পায় সে কারণে আমি করেছি। গাছকে খুব ভালবাসি। পরিবেশ সুন্দর করতে পারলে যাত্রীদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব।

ভ্রাম্যমাণ বাগান দিয়ে দৃষ্টি কেড়েছেন নগরবাসীর। নগরায়ন আর শিল্পায়নের প্রভাবে দিন দিন রাজধানীতে কমছে সবুজের প্রভাব। কিন্তু সবুজায়ন বৃদ্ধিতে কিছু মানুষ ব্যতিক্রমী কাজ করছেন। তাদের দাবি সবুজায়নের জন্যে কাজ করতে হবে সবাইকে।