ঢাকা মেডিকেলের মর্গের সামনে স্বামী জহিরুল হক কাঁদছেন আর বলছেন, ওষুধ আনতে গিয়ে তো আর ফিরলে না। এখন আমার ৫ বছরের মেয়ে মরিয়ম আর ৫ মাসের মেয়ে ফাতেমার কী হবে?
জানা গেছে, চকবাজারের চুরিহাট্টা গলিতেই থাকতেন জহিরুল-শিল্পী পরিবার, জহিরুল পাশেই ব্যবসা করেন বলে জানান খোরশেদ আলম।
জহিরুলকে সান্ত্বনা দিতে থাকা তার বন্ধু খোরশেদ আলম রাশেদ বলেন, আগুন লাগার একটু আগে জহুরুল ভাইয়ের স্ত্রী বিবি হালিমা শিল্পী তার বড় মেয়ের জন্য ওষুধ কিনতে বের হন। এরপর তিনি আর ফেরেননি। যেখান থেকে ওষুধ আনতে গিয়েছিলেন তিনি, সেই গলিতেই ঘটে আগুনের ঘটনা। আমরা এখনো লাশ সনাক্ত করতে পারিনি।
বুধবার রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে চকবাজারের নন্দ কুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানসনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
এলাকাবাসী জানায়, ওই ভবনের কারখানা থেকে আগুন ছড়িয়েছে। কেউ বলছে বৈদ্যুতিক টান্সফরমার বিস্ফোরণ আবার কেউ বলছে বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়ায়। ওয়াহিদ ম্যানসনের নিচতলায় প্লাস্টিকের গোডাউন ছিল। ওপরে ছিল পারফিউমের গোডাউন।
আগুন নেভাতে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট।
চকবাজারে ওই ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে এখন পর্যন্ত ৭৮-এ দাঁড়িয়েছে। দগ্ধসহ আহত অর্ধশতাধিক।
নিহতদের মধ্যে পুরুষ ৬৬ জন, নারী ৭ জন ও শিশু ৫ জন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে দগ্ধ ৯ জন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি, একজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।