নিজস্ব প্রতিনিধি : তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের কালিবাড়ি পাঠাগার সংলগ্ন পাকার মাথা থেকে ঋষিপাড়া পর্যন্ত পিচের রাস্তা করার শুরুতেই অনিয়ম -দুর্নীতি হচ্ছে মর্মে এর আগেও একটি সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। জানা গেছে, তালার ঠিকাদার সাংবাদিক তপন সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের ইচ্ছামত রাস্তা তৈরির শুরুতেই নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করছে। তিনি কারোর কথা শুনছেন না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও কোনো কাজ হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয় এলাকাবাসীর তোপের মুখে কয়েকদিন আগে রাস্তায় দেয়া কিছু নিম্মমানের ইটের খোয়া তুলে রাস্তার পাশে রেখেছিলো। সেসময় রাস্তার শ্রমিকেরা বলছিলো আর এরকম ভুল হবেনা।কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই পূণরায় নিম্নমানের ইট ব্যবহার করছে বলে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে কালিবাড়ি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আশাশুনি সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ক্যাপ্টেন মো. এছাহক আলী জানান, তারা গ্রামবাসীরা মিলে কাজের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে কয়েকবার।রাস্তায় নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করা হবেনা বলেও ঠিকাদারি শ্রমিকেরা জানানোর পরেও বার বার একই অনিয়ম করেছে। তিনি নিজে কয়েকবার তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউনএনও) ইকবাল হোসেনকে এ বিয়ষে জানিয়েছেন। ইউএনও ইকবাল হোসেন তাকে বলেছেন অনিয়ম হলে রাস্তার কাজ করা বন্ধ করে দেন। তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে এ বিষয়ে তিনি কয়েকবার জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীও তাকে বলেছে কাজ বন্ধ করে দিতে। প্রতি উত্তরে ক্যাপ্টেন মো. এছাহক আলী বলেছিলেন কাজ আমরা বন্ধ করে দিলে কথা উঠবে। সেজন্য আপনারা এসে দেখে যায়,আপনারা নিজেরাই পদক্ষেপ নেন।তবুও তারা এখনো পর্যন্ত দেখেনি।
তবে এ বিষয়ে আগেও সাতক্ষীরা জেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ণ চন্দ্র সরকারের কাছে মোবাইলে জানানো হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, আপনারা কাজ বন্ধ করে দেন। প্রতিবেদক নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রতিনিধি পাঠিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ঠিক আছে আমি সহকারী প্রকৌশলীকে পাঠিয়ে দিচ্ছি। তিনি তদন্ত করে সুষ্ঠু ব্যবস্থা নিবেন।তবে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।তিনি বলেছেন আচ্ছা বিষয়টি দেখছি আমি।
এদিকে কালিবাড়ি পাঠাগারের সভাপতি ক্যাপ্টেন এছাহক আলী জানান, তারা পাঠাগারের পক্ষ থেকে রাস্তার অনিয়মের ব্যাপারে লিখিতভাবে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার জনমনে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী বলছে সরকার বার বার রাস্তা বরাদ্ধ দিবেনা।তাই যদি সঠিকভাবে কাজটি করা না হয় তবে খুব শিঘ্রই রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাবে।তাই যাতে দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেন সে ব্যাপারে স্থানীয় জনগন আশাবাদী।