বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ায় ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী (১৩)কে ধর্ষণের পর হত্যা চেষ্টার অভিযোগে সাগর (২৮),সুমন (১৮), নাহিদ (২৫) নামে তিন জনের নামে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে সাগর নামের ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সোনাতনকাটি গ্রামে।
আটক,সাগর সোনাতনকাটি গ্রামের আক্তারুল ইসলামের ছেলে এবং পলাতক আসামি সুমন একই গ্রামের শফিকুল ইসলাম কলুর ছেলে ও নাহিদ সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার ধানঘুরা গ্রামের রেজাউল সর্দারের ছেলে।
জানাগেছে,গত শনিবার (২৪শে জুলাই) রাত ৮টার দিকে ঐ কিশোরীকে জানলা দিয়ে ডেকে গোপন কথা আছে বলে বাইরে আসতে বলে কিশোরী সরল মনে বাইরে আসে আসার পরে নাহিদ তাকে নিয়ে বিচালী গাদার পাশে নিয়ে যায় কিছুক্ষণ পর অপর দুই কিশোর ঐ কিশোরীকে দুইহাত চেপে ধর্ষণ করে।
মেয়েকে না পেয়ে কিশোরীর বাবা ও আত্মীয়-স্বজন খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে নাম ধরে ডাকতে থাকলে ধর্ষণকারীরা তাকে পানিতে রেখে পালিয়ে যায়।
পরে কিশোরীর পিতা গরীব ভ্যান চালক ও চাচাতো ভাই সুমন আহত অবস্থায় পুকুর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় গত ২৬ জুলাই সোমবার সোনাতনকাটি গ্রামের পাড়ার ভিতরে একটি রুমের ভিতর তালা বদ্ধ ঘরে আটকে রেখে টাকার বিনিময়ে মিমাংশার চেষ্টা করে একটি মহল।খবর পেরে ঘটনাস্থলে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপস্থিত হলে মিমাংসার চেষ্টাকারীরা সটকে পড়লে পুলিশ আসামি সাগরকে আটক করে এবং ধর্ষনের শিকার কিশোরীকে হেপাজতে নেয়।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বদরুল আলম খান জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সাগর স্বীকার করেছে তারা তিনজন মিলে এ অপকর্ম করেছে। বাকি দুই আসামিকে আটকের চেষ্টা চলছে এবং মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য যশোর সদর হাসপাতলে পাঠানো হবে বলে জানান।