সাতক্ষীরার শ্যামনগর বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের কলবাড়ীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন গুরুতর আহত।
আজ বৃহস্পতিবার আনুমানিক বেলা ১১ টার দিকে কলবাড়ী গ্রামের মোঃ আকবর আলী সরদারের নিজস্ব জমিতেই মারধরের ঘটনাটি ঘটে।
মোঃ আকবর আলী সরদারের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া প্রত্যেক ভাই ৪ শতক জমি পাবে কিন্তু অন্যান্য ভাইরা স্থাপনা ও ইমারত নির্মাণ করায় ১ শতক জমি কম অর্থাৎ ৩ শতক জমি নিয়েই ঘর নির্মাণ করতে হচ্ছে আকবর আলী সরদার ও তার পরিবারের।
সূত্রে আরো জানা যায় পরিবারের সকল ভাই মিলে সার্ভেয়ার দিয়ে জমি মাপ জরিপ করে নিজেদের মায়ের কবরস্থান সহ সর্বমোট ৩ শতক জমি আকবর আলী সরদারকে বসবাসের জন্য বরাদ্দ হয়। সেই ৩ শতক জমিতেই স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে আকবর আলী সরদারের মেজো পুত্র কলবাড়ি বাজারের জুঁই স্টোরের স্বত্বাধিকারী মোঃ আব্দুল জলিল। দিনমজুর থেকে ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হওয়ায় হিংসার দানা বাঁধতে থাকে আপন চাচাতো ভাই মো ফজলুল হক সরদারের পুত্র মোঃ এরশাদ ইসলামের।
হিংসার বশবর্তি হয়ে উভয়পক্ষ জড়িয়ে পড়ে দ্বন্দ্বে। প্রতি মাসে একবার করে নিয়মিত গোলযোগ লেগেই আছে। আর তারই সূত্র ধরে আজ বেলা ১১ টার দিকে নিজেদের মায়ের স্থানকে সকলের দাবি করে সীমানা প্রাচী দেওয়ার কাজ শুরু করতে যায় কল বাড়ি গ্রামের মৃত নিয়ামত আলী সরদারের পুত্র সেজো পুত্র মোঃ ফজলুল হক সরদার ও ছোট পুত্র কুব্বত আলী সরদার এবং তাদের সঙ্গে ছিল তাদের পুত্র মোঃ এরশাদ ইসলাম ও মো আবু বক্কর সিদ্দিক।
ঠিক এই সময়ই মায়ের কবরস্থান আকবর আলী সরদারের ৩ শতক জমির সীমানার মধ্যে থাকায় আকবর আলী সরদার কাজে বাধা প্রদান করে। ঠিক এসময় চড়াও হয়ে মোঃ ফজলুল হক সরদার, কুব্বাত আলী সরদার, এরশাদ ইসলাম ও আবু বাক্কার সিদ্দিক স্বাধীন আকবর আলীকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে হাঁকাহাঁকি ছুটোছুটির পর আকবর আলী সরদারের পুত্র মোঃ আব্দুল জলিল ঘটনাস্থলে যেয়ে তার পিতাকে প্রাণে বাঁচাতে যেয়ে নিজেই মারধর খান এমনটাই দাবি করেছেন গুরুতর আহতের পুত্র মোঃ আব্দুল জলিল।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আকবর আলী সরদারকে একা পেয়ে এরশাদ ইসলাম ও তার পরিবারের ৭-৮ জন মিলে মোটা মোটা লাঠি ও বাঁশ দিয়ে হার্ট অ্যাটাকের রোগী আকবর আলী সরদারকে গুরুতর আহত করে।
তবে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে মোঃ কুব্বাত আলী সরদার ও এরশাদ ইসলাম বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা আমাদেরকে ওরা উল্টো মারধর করে এবং ওরা গায়ে কাদা-মাটি মেখে মার খাওয়ার অভিনয় করছে। আর কবরস্থান সেটাতো সকলের সম্পত্তি আমাদের মায়ের কবর সকল সম্পত্তি এটা কেন তাদের হতে যাবে। আমরা তাদেরকে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা কবরস্থান থেকে তাদের জিনিসপত্র সরাইনি আমরা তাদেরকে বলে আসছি যে আমরা পাঁচিল উঠাবো, মায়ের কবরস্থান সুন্দর করে সাজাবো কিন্তু তারা তাদেরকে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা তাদের জিনিসপত্র সরায়নি।
এদিকে হার্ট অ্যাটাকের রোগী মোঃ আকবর আলী সরদারকে গুরুতর আহত করা হয়েছে তার ডান হাতে মারাত্মক চোট পাওয়ায় শ্যামনগর ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে স্ক্যান করিয়ে শ্যামনগর সদর হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মোঃ আকবর আলী সরদার শ্যামনগর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।