লাকসামে প্রবাসী স্ত্রীর ১০ টুকরো লাশ:

23
লাল সবুজের কথা
লাল সবুজের কথা

অাবুল কালাম,লাকসাম থেকে:

লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের দুই সন্তানের জননী,এক প্রবাসীর স্ত্রীর ১০ টুকরো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূর নাম আম্বিয়া বেগম (৩৮)। তিনি নাওটি গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী রবিউল হোসেনের স্ত্রী এবং একই জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার পেরিয়া ইউনিয়নের শালুকিয়া গ্রামের মৃত আলী আহাম্মদের কন্যা।

শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল সড়কের লাকসামের আশকামতা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশ নিহত ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল রোববার দুপুরে নিহত আম্বিয়ারকে তার বাবার বাড়ীতে জানাযা শেষে দাফন করা হয়। নিহতের পরিবারের দাবী আম্বিয়াকে হত্যারপর তার দেবর ও দেবর স্ত্রী মিলে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে তাকে বাড়ীর পাশের রেল লাইনে ফেলে দিয়েছে।এ ঘটনার পর থেকে নিহত আম্বিয়ার দেবর অভিযুক্ত মজিবুল হক (৩৫) ও তার স্ত্রী পরভীন বেগম (৩০) পালাতক রয়েছে।

নিহতের ভাই ইসরাফিল খাঁন জানান, আমার বোন আম্বিয়ার স্বামী রবিউল হোসেন দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী। পারিবারিক অর্থসম্পত্তি নিয়ে দেবর মজিবুল হক ও তার স্ত্রী পরভীন বেগমের সাথে বিরোধ ছিল। এসব কারণে তারা আমার বোনকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য তার লাশ রেল লাইনে পেলে রাখে। আমার বোনের একটি কন্যা ও একটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী পুত্র সন্তান রয়েছে। যারা আমার বোনকে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই।
লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান বলেন, উপজেলার আশকামতা নামক স্থানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল সড়কের উপর এক নারীর কয়েক টুকরো লাশ পড়ে থাকার খবর আমাদেরকে স্থানীয়রা জানায়। খবর পেয়ে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীর ১০ টুকরো লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে দেখা যায় তিনি ট্রেনে কাটা পড়েছেন। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।