রোহিঙ্গা শিশুর পেটে ইয়াবার প্যাকেট

24
ইয়াবা। ফাইল ছবি
ইয়াবা। ফাইল ছবি

ছোট ছোট প্যাকেট। প্রতিটি প্যাকেটে ৫০টি করে ইয়াবা। এসব প্যাকেট পানি দিয়ে গিলে খাওয়ানো হতো আফসার বাবুল নামের এক শিশুকে। এরপর ১২ বছরের এই শিশুকে টেকনাফ থেকে ঢাকায় আনা হতো। ঢাকায় আনার পর তাকে ইয়াবা সিরাপ খাইয়ে পায়ুপথ দিয়ে বের করা হতো ইয়াবার প্যাকেট। এরপর এসব ইয়াবা ঢাকার মাদকসম্রাটদের কাছে বিক্রি করা হয়।

গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে শিশু আফসার, তার চাচাসহ ছয়জনকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এরপর আফসার ও তার চাচার পেট থেকে বের হয় ইয়াবার অনেকগুলো প্যাকেট। সেগুলোয় সাড়ে তিন হাজার ইয়াবা ছিল।

ডিবির (উত্তর) উপকমিশনার মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আটক ছয়জনের মধ্যে গডফাদার মামুন শেখ। তিনি এসব চালান খুচরা বিক্রেতা শরীফুলকে দিতেন। শরীফুল আবার দুজন লাইনম্যান ফাহিম সরদার ও রাজীব হোসেনকে দিয়ে বিক্রি করাতেন।

মশিউর রহমান বলেন, শিশু আফসারকে এ কাজে যুক্ত করেন তার চাচা সেলিম মোল্লা (৩২)। দুজনই রোহিঙ্গা শরণার্থী। টেকনাফ থেকে আফসারকে দিয়ে বহুবার ইয়াবার চালান ঢাকায় এনেছেন সেলিম। প্রতি চালানে সেলিম পেতেন ১৫ হাজার টাকা এবং আফসার পেত ১০ হাজার টাকা।

এবারও তাদের মাধ্যমে ছয় হাজার ইয়াবার চালান এসেছে উল্লেখ করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাদের ধরার আগেই বাকি তিন হাজার ইয়াবা বিক্রি হয়ে গেছে। এখন সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান চলার কারণে মাদক চোরাকারবারিরা শিশুদের বেশি ব্যবহার করছে