রুপালী পর্দার জনপ্রিয় মেগাস্টার ঠাকুরগাঁও এর কৃতি সন্তান অভিনেতা সাইফ খানের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছ

29

জনি হোসেন ,করিমগঞ্জ প্রতিনিধিঃ এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ খানের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্টান বিঙ্গাপন নাটক সিনেমা প্রোগ্রাম এর মধ্যেদিয়ে দিন দিন সুপরিচিত এই অভিনেতা সাইফ খান ৷

সাইফ খান দুই শব্দের একটি নাম। কিন্তু এই নামের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। ‘জনপ্রিয়তা’ বলতে যা বোঝায় তার সব কিছুই অর্জন করেছে এই নাম। কখনও বা বলিউড বাদশাহ, কখনও কিং অব রোমান্স আবার কখনও বিশ্বের সবেচয়ে বড় অভিনেতা বা কিং খান খেতাব নামের আগে বিশেষণ হিসেবে যুক্ত। নামের আগে যতই বিশেষণ যোগ করা হোক না কেনো তা কম হিসেবেই গণ্য হয় সাইফ খানের ক্ষেত্রে।

অভিনেতা সাইফ খান ১৯৮৩ সালে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় জগতা গ্রামে একটি মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন করেন । তাঁর বাবা ছিলেন একজন ব্যবসায়ী এবং মাতা একজন গৃহিণী। পরিবারে তাঁর অন্যান্য সদস্যরা হলেন তিন ভাই তিন বোন ৷

বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা সাইফ বাস্তবে জীবনেও বেশ জনপ্রিয়। কথায় আছে ভালো ছাত্র হলেই নাকি ভালো শিক্ষক হওয়া যায় না। তবে সাইফের ক্ষেত্রে যেন এটি বেমানান। ভালো অভিনেতার পাশাপাশি তিনি বাকপটু, উপস্থিত বুদ্ধি সম্পন্ন ও রসবোধে দারুণ একজন। তার কথার জাদুতে মুগ্ধ হন সবাই। সব মিলিয়ে সত্যিকার এক জনপ্রিয় তারকার গুনাগুণ তার মধ্যে রয়েছে।

অভিনেতা সাইফ খান। কর্মগুণে তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘সুপারস্টার। সিনেমা নবাব করা এ নায়ক এখন ভারতের কলকাতা এবং আসামেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন তিনি। বেশ কিছু যৌথ প্রযোজনার সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। দেশের পাশাপাশি বিভিন্ন রাষ্ট্রে ও দেশের বাহিরের দর্শকরাও এসব সিনেমা গ্রহণ করেছে।

গেলো কয়েক বছরে ভালোবাসার ১৬ আনা , নবাব, বাহাদুরী, রাগী, বেপরোয়া, গোপন সংকেত, হৃদয় জুড়ে, ধারাবাহিক নাটক দীপ্ত টিভিতে -পালকি,অপরাজিতা, ওরা থাকে ওধারে, মাই টিভিতে – ভয়ংকর রাত, আর টিভিতে – অঝর শ্রাবন, রংঙ্গিন বায়স্কোপ বিজ্ঞাপন আর এফ এল থ্রেড পাপ ২ টি,আর এফ এল ডেকোরেটর টেবিল, বুস্টার এনার্জি বিস্কুট, ফ্রুট ফান বিস্কুট, ক্রিসেন্ট সুজ, প্রতিটি সিনেমায় নতুন লুকে দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছেন সাইফ খান। যা তার নতুন দর্শক তৈরিতে সমর্থ হয়েছে।

নতুন ভাবে প্রস্তুত করছেন পরবর্তী কাজের জন্য নতুন ছবি মায়ের কষ্ট ,এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাইফ খান বলেন, আমি সবসময় একটা টার্গেট নিয়ে কাজ করি। আগের ছবিতে কাজ শুরু করার সময় একটা টার্গেট ছিল। এই যেমন আমার সমসাময়িক কারা কাজ করছেন। আগামী ৫ বছরে নিজেকে কোন অবস্থানে নিয়ে যাব। দর্শকরা আমাকে কীভাবে দেখতে চাইছেন আরো অনেক কিছুই।

তিনি এক সাক্ষাতকারে বাংলাদেশ সমাচারকে জানান,আমি অনেক লড়াই উতরাই পার করে অনেক পরিশ্রম করে আমি অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে আজকে এই স্থানে এসেছি। ছেলেবেলা থেকেই প্রিয় মানুষদের অভিনয় দেখে দেখে মনের মধ্যে অভিনয়ে ইচ্ছে তৈরি হতো। খুব কষ্ট হতো ভেবে যে আমি কোনোদিন অভিনয় করতে পারব কি না। কারণ আমার জন্য কোনো সুযোগ ছিলো না। অভিনয় করার একটা প্রবল আগ্রহ সবসময় ফিল করতাম ৷ কিন্ত কথায় আছে যদি তুমি সৎ এবং পরিশ্রমী হও তাহলে একদিন তুমি তোমার সঠিক লক্ষে পৌছাতে পারবে আর আজকের আমার এই অবস্থানে আসার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। আর সবটাই সম্ভব হয়েছে দর্শকদের ভালোবাসার জন্য ৷