অমারেশ কুমার বিশ্বাস,রাজগঞ্জ,(যশোর): রাজগঞ্জের বিভিন্ন খুচরা বাজারে গত কয়েকদিনে কাঁচা মরিচের দাম কয়েক দফা বেড়েছে। সপ্তাহখানেক আগে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা ১৬০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।
ক্রেতারা বলছেন সিন্ডিকেটের কারণে দাম বাড়ছে। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, বর্ষা মৌসুমের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাজারে যে পরিমাণ কাঁচা মরিচ এসেছে তা প্রতিদিনের চাহিদার তুলনায় অনেক কম। চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতির কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।
সোমবার (৯জুলাই) সকালে রাজগঞ্জের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচের দামে যেন আগুন লেগেছে।
রাজগঞ্জের সবজি বিক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। সরবরাহ কম। বর্ষার পানি উঠে গেছে বেশিরভাগ জমিতে। এ জন্য দাম বেড়েছে। আমরা বেশি দামে পাইকারি বাজার থেকে কিনছি, তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।
এই বাজারে সবজি কিনতে এসেছেন চিত্ত মোহন রায় তিনি বলেন, সিজন শেষে দাম একটু বাড়তে পারে। তাই বলে সিজনের ৫০/৬০ টাকার কাঁচা মরিচের এখনই ২০০ টাকা হবে! তাহলে সারাবছর কাঁচা মরিচের দাম কত হবে?
তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিটি সবজি বিক্রেতার দোকানেই যথেষ্ট পরিমাণ কাঁচা মরিচের মজুদ আছে। এমনিতেই ৬০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি মেলে না। তার ওপর কাঁচা মরিচের দাম এতো বেশি। বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়িয়েছেন।
কোমলপুর বাজারে হটেলে ক্রেতারা সিংগুড়া (ছামুছা) ছোলার সাথে কাঁচা মরিচ খেতে চাইলে দিতে চাই না। তিনি বলেন মরিচের দাম ২০০ টাকা কেজি। কিভাবে আমি তোমাদের কাঁচা মরিচ দেবো। ক্রেতারা জোড় করলে তিনি বলেন প্রতি বাজারে আমি ৫ কেজি করে কাঁচা মরিচ ক্রয় করি আজ ১ কেজি ক্রয় করেছি। দাম কমলে তখন আবার দেবো।