রাজগঞ্জের ভাসমান সেতুতে নারী-পুরুষের ঈদ আনন্দের মিলন মেলা

28

বিশেষ প্রতিনিধিঃ যেকোনো উৎসব শুরুতে প্রতিটা মানুষের মনের ভিতর আন্দোলিত হয় অন্য রকম আমেজ।সেটা সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে পালন করে থাকে।ধর্ম যার যার উৎসব সবার এমনই একটা অনুভূতি কাজ করে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে ।

মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীসহ সকল মানুষেরা তাদের নির্দিষ্ট সময়ে পালিত,প্রতিটি আনন্দঘন দিনটি কোন না কোন ভাবে পালন করে থাকে।যেতে থাকে একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।ঘুরতে যায় কোন এক নির্দিষ্ট বিনোদন এলাকায়।

যার ফলশ্রুতিতে দেখা যায় মুসলমান ধর্মাবলম্বী মানুষ ঈদে বন্ধুবান্ধব বা পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে বের হয় অনেকে।

ঈদকেন্দ্রিক এ ঘোরাঘুরিকে লক্ষ্য রেখে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যায় ঈদের শুরু থেকে এ পর্যন্ত।ঈদের আনন্দের সাথে নতুন করে এবছর যুক্ত হয়েছে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা। প্রত্যেকের আনন্দ যেনো ডাবল হয়ে দাঁড়িয়েছে এবছর।

ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার যুগীখালী এবি ও অন্যান্য পার্কসহ খোরদো ব্রিজ এলাকায় হাজার হাজার নারী-পুরুষের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে।

বিশেষ করে সেই ঐতিহ্যবাহী নদ কপোতাক্ষের উপরে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত খোরদো ব্রিজ মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে।

পাশাপাশি যশোরের মণিরামপুর থানাধীন ঝাঁপা বাওড়ে নির্মিত ভাসমান সেতু ও পিকনিক স্পটে দর্শনার্থীসহ স্থানীয়দের ঢল নেমেছে।

দেখা যায়, শত শত নারী পুরুষ, শিশু-কিশোরী খোরদো ব্রিজ ও ঝাঁপার ভাসমান সেতুতে ভীড় জমিয়ে চলেছে। পরে সেখান থেকে ছুঠছে দর্শনীয় বিভিন্ন পার্কে।

হয়েছে দশর্ণীয় স্পটগুলোতে মিলন মেলায় পরিনত।

কিছু মিলন মেলা বা পার্কে যে অসামাজিক কাজকর্ম হচ্ছে না সেটা ঠিক না।জানা যায় তার বেশ প্রভাব পড়েছে কলারোয়ার এবি পার্কে।যেটা নির্জনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অগোচরেই হচ্ছে বলে প্রথমত ধারণা করছে সচেতন ব্যক্তিরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন,অনৈতিক কাজকর্মের কারণে বাকবিতন্ডারও সৃষ্টি হয় উপজেলার যুগীখালী এবি পার্কে।এবিষয়ে কতৃপক্ষের সাথে জানতে চেষ্টা করলেও,যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কোটি টাকা ব্যয়ে সম্প্রতি বছর খানেক খোরদো ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

কিন্তু উদ্বোধন হয়ে সম্পুর্ন চলাচলের উপযুক্ত ব্যবস্থা চালু হলেও ব্রিজটির কার্পেটিং খুব একটা ভাল ও মসৃণ করা হয়নি বলে পথচারীরা মনে করেন।

যেটা ভাল ভাবে বোধগম্য হয় কোন যানবাহনে চড়ে ঝাকুনী খেয়ে শরীরের কাঁপুনিতে বলে জানান তারা।

তবে ঐ এলাকায় কপোতাক্ষ নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের উপর থেকে সম্পূর্ণ দৃষ্টিতে ঐতিহ্যবাহী কপোতাক্ষ নদীর অপরুপ সৌন্দর্য বেশ ভাল ভাবেই অবলোকন করা যায়।

ফলে সেই অপরুপ দৃশ্যটি দেখার জন্য চলতি ঈদ আনন্দসহ প্রতিনিয়ত শত শত মানুষের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে।

অপরদিকে যশোরের মণিরামপুর থানাধীন ঝাঁপা রাজগঞ্জ এলাকার ঝাঁপা বাওড়ে নির্মিত ভাসমান সেতুতে উপছে পড়া ভিড়।

সেদিক থেকে সূশীল সমাজ মনে করেন,পর্যটন নগরীতে যেভাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে একদিন বেশ বৃহত্তম পর্যটন এলাকা হিসাবে পরিচিতি লাভ করবে।

কারণ,সেই ভাসমান সেতুর আঁধা কিলোমিটার দক্ষিনে গুরুচরন পাটনি খেয়াঘাটে দেড় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে আরো একটি থ্রিলেইন ভাসমান সেতু ।

কতৃপক্ষ জানান, ১২ ফুট প্রস্থ ও প্রায় ১৪শ ফুট দৈর্ঘ্যে ভাসমান সেতুটির পূর্ন কাজ সম্পর্ন্ন করতে আরো কয়েক মাস সময় লাগবে এবং দেড় কোটি টাকার উর্দ্ধে ব্যায় হবে।

ভাসমান নব্য নির্মানাধীন ভাসমান সেতুটির নাম করনে কতৃপক্ষ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতু।

সম্পুর্ন চলাচলের উপযুক্ত প্রথমটি জেলা প্রশাসক ভাসমান সেতু নামে পরিচিত হয়েছে স্থানীয় ও দুর দুরান্ত থেকে আশা সকল দর্শনার্থীদের কাছে।

কঠিন রোদ্রের তাপদাহের মধ্যে সস্তির খোঁজে উপজেলার খোরদো ব্রিজে নির্মল বাতাসে উপচে পড়া ভিড়ে,দেখতে দেখতে ঈদল ফেতরের আনন্দঘেরা মুহূর্ত ঈদের তিন থেকে চার দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনও চলছে ঈদ আনন্দ সকলের মাঝে।