মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল(যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের নাভারনে সোহাগ হোসেন (১৭) নামে এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করে। সোহাগ হোসেন যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামের কামাল হোসেন ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় সোহাগ রাতে বাড়িতে এসে রাতের খাবার খেয়ে নিজের ঘরে ঘুমাতে যায়। সকালে নির্ধারিত সময়ে না উঠায় পরিবারের লোকজন তাকে ডাকাডাকি করে। এসময় ভিতর থেকে কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায় সন্দেহ হলে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকতে চাইলে দরজার সিটকানি খোলা পাওয়া যায় এবং ভিতরে প্রবেশ করতেই সোহাগ হোসেনর ঝুলন্ত মৃতদেহ চোখে পড়ে। তাক্ষনিক চিৎকারে প্রতিবেশিরা সোহাগের ঝুলন্ত মৃতদেহটি দেখতে ছুটে আসে।
এদিকে সোহাগ হোসেন আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে মেরে কেউ ঘরে ঝুলিয়ে দিয়েছে তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। স্থানীয়রা জানান, সোহাগ হোসেনের নিথর দেহ যখন ঝুলছিল তখন তার পা ভাজ হয়ে মাটিতে লাগানো ছিল। এলাকাবাসী ও তার পরিবারের লোকজন একাধীক মন্তব্য করে বলেন সোহাগকে কেউ হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তা না হলে এমন করে আত্মহত্যা দৃশ্য সহজে হজম হচ্ছে না নিহতের পরিবারের অনেকের কাছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার সময় পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে পোষ্টমর্টেমের জন্য যশোর মেডিকেলজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এব্যাপারে শার্শা থানার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, নিহত সোহাগের আত্মহত্যা স্বাভাবিক নয় বলে মনে হচ্ছে। আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা ক্ষতিয়ে দেখতে লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট আসলেই সঠিক কারণ জানা যাবে।