মাহবুবুজ্জামান সেতু,নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর মান্দা উপজেলার বৈদ্যপুর বাজারে একবছর ধরে চলমান বিভিন্ন নামী দামি কোম্পানীর মোড়কে বাজারজাতকৃত নকল সার ও কীটনাশক তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।
ওই কারখানা থেকে বিপুল পরিমান সরঞ্জাম জব্দসহ মুলহোতা আরিফ হোসেনকে (৪৮) গ্রেফতার করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃত আরিফ হোসেন খুলনার খানজাহানআলী উপজেলার শিরোমনি উত্তরপাড়া এলাকার মৃত শওকত হোসেনের ছেলে।
সংবাদ পেয়ে কৃষি অধিদপ্তর ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এ এস আই) রবিউল ইসলাম শুক্রবার সন্ধ্যায় বৈদ্যপুর বাজারের অদুরে গোড়রা এলাকায় কারখানাটির সন্ধান পান।
এরপর অনুসন্ধান চালিয়ে নকল সার ও কীটনাশক তৈরীর সত্যতা পাওয়া যায়।বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে শনিবার সকালে কারখানাটিতে অভিযান দেয়া হয়েছে।
এসময় বিপুল পরিমান উপকরণ ও সরঞ্জামসহ কারখানারটির মুলহোতা আরিফ হোসেনকে পাশের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয়রা জানান, বৈদ্যপুর বাজারের গোড়রা এলাকার আনিছুর রহমান আন্টু ও আজিজুল ইসলামের বাসা ভাড়া নিয়ে গ্রেফতারকৃত খুলনার আরিফ হোসেন, যশোরের মুকুল হোসেন, মধু চন্দ্র ও এমদাদুল হক এবং নিলফামারী জেলার রফিকুল ইসলাম একবছর ধরে কারখানাটির কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।কারখানাটি বাজার থেকে একটু দুরে নির্জন এলাকায় হওয়ায় সেখানে কি তৈরি হচ্ছে এ বিষয়ে তারা অবহিত ছিলেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, কারখানাটির সামনে প্রতিনিয়ত ট্রাক ভর্তি করে বালু ও মাটি নিয়ে আসা হত।এগুলো দিয়ে কারখানার ভেতরে কি কাজ করা হত সেটি তারা জানতেন না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসলাম, গোলাম মোস্তফাসহ আরও অনেকে জানান, কারখানার মালিকরা আন্টু ও আজিজুলের ৩টি বাসা মাসিক ২ লাখ ২৫ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম চালু করেন। মাসিক বেতনে ৩৫ জন কর্মচারি সেখানে নিয়মিত কাজে নিযুক্ত ছিলো।এলাকার কতিপয় ব্যক্তির ছত্রছায়ায় কারখানটিতে নকল সার ও কীটনাশক উৎপাদনসহ বাজারজাত করে আসছিলেন অভিযুক্তরা।
উল্লেখ্য,শনিবার সকালে কারখানাটিতে গিয়ে দেখা গেছে, তিনটি ভবনের একটিতে জিংক সার তৈরির উপকরণ এবং মিকচার মেশিন।