মান্দার চৌবাড়িয়ায় এক সংখ্যালঘু পরিবারের গৃহবধূকে কু-প্রস্তাব

119

নওগাঁ প্রতিনিধি।। নওগাঁর মান্দায় চৌবাড়িয়া বাজারে অবস্থিত বউ বাজার ফার্নিচার এন্ড গিফট কর্ণারের প্রোঃ অমল চন্দ্র প্রামানিক এর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানী এবং কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার চৌবাড়িয়া বাজারে।

মান্দার চৌবাড়িয়া বাজারে অবস্থিত বউ বাজার ফার্নিচার এন্ড গিফট কর্ণারের প্রোঃ অমল চন্দ্র প্রামানিক এর স্ত্রী ভুক্তভোগী শ্রীমতি দুলি জানান, তার স্বামীর অবর্তমানে তিনি দোকানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন কিন্তু স্থানীয় চৌবাড়িয়া মালশিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি এবং পার্শ্ববর্ত্তী তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউপির সদস্য আলাউদ্দীন প্রামানিক তাকে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এরই জের ধরে শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তার স্বামীর দোকানের সামনে চৌবাড়িয়া মালশিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি সাইনবোর্ড লাগাতে আসে। এসময় বাধা দিতে গেলে জোরপূর্বক দোকানের ভিতর প্রবেশ করে বিভিন্নভাবে কু-প্রস্তাব সহ শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এটিই তার প্রথম অনৈতিকতা না, বরং ইতি পূর্বেও তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে কু-প্রস্তাব দিতো।

নিজের আত্মসম্মান বোধ রক্ষার্থে দোকান বন্ধ করে দ্রুত দোকানের পাশে অবস্তিত নিজ বাসার ভিতরে অবস্থান নিই। এই সুযোগে লম্পট ইউপি সদস্য আমাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করা শর্তেও তার মনের খায়েশ না মিটায় রাগের বর্শবর্তী হয়ে সংগবদ্ধভাবে দোকানের সামনে থেকে দোকানের সার্টারিং নামিয়ে দোকানঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। এরপর বিষয়টি মান্দা থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এঘটনায় চৌবাড়িয়া বাজার জুড়ে ব্যাপক চঞ্চলের সৃষ্টি হয়। পার্শ্ববর্ত্তী তানোর উপজেলার ইউপি সদস্যের এমন আচরনে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সংখ্যালঘু পরিবারের একজন গৃহবধুকে এভাবে শ্লীলতাহানি কেহই মেনে নিতে পারছেন না। এমন ঘটনায় স্থানীয়রা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেই সাথে তদন্ত সাপেক্ষে ওই অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলাউদ্দীন প্রামানিক, তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে । আসলে আজকে চৌবাড়িয়া বাজারে এমন কোন ঘটনা ঘটে নাই। তবে চৌবাড়িয়া মালশিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের আর এস রেকর্ড ও ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির একটি সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়ে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে মান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।