মাসুম বিল্লাহ,সদর (যশোর) প্রতিনিধিঃ ছোট্ট একখন্ড বসতভিটা আর একটি কুড়ে ঘরে বৃদ্ধ মমিন ও তার স্ত্রীর বসবাস।নুন আনতেই পান্তা ফুরাই। তবে বয়সের ভারে নুনটুকু জোটাবার মত ক্ষমতা নেই মমিনের।দুবেলা দুমুঠো খাবার যোগাবার জন্য ভিক্ষাকেই বেছে নিয়েছিলেন বৃদ্ধ মমিন।ইছালী ইউনিয়নের কয়েটা গ্রাম ঘুর ভিক্ষা করে কেহ ৫/১০টাকা।কেহো এক মুঠো চাল দিত তাই নিয়ে সংসার চালাতো মমিন।বছর খানিক পর দেখা গেল উড়টো চিত্র।এলাকার যেসব বাড়িতে ঘুরে ঘুরে মমিন চাইতেন ৫টা টাকা এক মুঠো চাল।সেসব বাড়ির পাস দিয়ে ভ্যনগাড়ি করে সাক সবজি,তরিতরকারি সহ কাচাবাজার বিক্রয় করে বেড়াচ্ছেন মমিন।কেহ ইচ্ছা করে ৫ টা টাকা বেশি দিলেও নিচ্ছেনা মমিন।ভিক্ষু মমিন থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীক এ নিয়ে এলাকায় ইতিবাচক গুনজন ছড়িয়ে পড়ে।আমাদের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ’র নেওয়া একটি সাক্ষাতকারে বৃদ্ধ মমিন দৈনিক লাল সবুজের কথাকে জনানান, আমি কখনো ইচ্ছা করে ভিক্ষা করিনি অভাবের তাড়নে। আমি মনে মনে পণ করে ছিলাম।যদি আমি কখনো এক সাথে কিছু টাকা গোছাতে পারি তাহলে আমি আর ভিক্ষা করবনা।ব্যবসা করব।ভিক্ষার টাকা জমিয় একটি ভ্যান কিনি ও কিছু কলা,কচু,লাও কিনে ফেরি করে বিক্রয় করি।মমিন আরো বলেন।ভিক্ষা ছেড়ে এখন অনেক সুখে আছি।মনের দিক দিয়ে অনেক প্রশ্বান্তি লাভ করছি।২০১৭ সালে ভিক্ষুক মুক্ত জেলা কর্মসূচিতে পসাষনের কোন সহযগিতা পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মমিন বলে না আমি কোনরু প্রসাষনের সহযোগীতা পাইনি।এই টুকটাক এলাকার মানুষ যা দিয়েছে তাই দিয়েই এ ব্যবসা শুরু করেছি।এলাবাসি জানান মমিন বরবরই বিনোয়ি ভদ্র পরিশ্রমি ও নামাজি।সুধু যশোরের রাজাপুরের মমিন নয়।সারা দেশের সকল ভিক্ষুক এ থেকে শিক্ষা নিক তাহলে প্রধান মন্ত্রির আশা অনুযায়ী ভিক্ষুক মুক্ত দেশ গড়তে সক্ষম হব আমরা।