যখন আমরা দেখি যে আমাদের চারপাশে বন্ধু, আত্মীয়স্বজন বা চেনা পরিচিত কেউ কোনও একটি সমস্যার মধ্যে রয়েছে, তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই তাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি জাগে। আমরা তখন এমন কিছু করতে চাই যা আমাদের কাছের মানুষকে সমস্যা থেকে রেহাই দিয়ে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ঠিক একইরকমভাবে যখন কারও নিজের প্রতি সহানুভূতি বা করুণা দেখা দেয়, তখন তা আত্ম-সহানুভূতি বা আত্ম-করুণা বলে চিহ্নিত হয়। এই ধরনের অনুভূতি আমাদের ভদ্র, শান্ত, দয়ালু এবং নিজের জীবনের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য সম্বন্ধে আরও বেশি যত্নশীল এবং গতিশীল হয়ে উঠতে সাহায্য করে। আর এভাবেই আমাদের জীবনে উত্তরোত্তর উন্নতি এবং বিকাশ ঘটে।
তাই আসুন নিজের আত্ম-সহানুভুতি কে জাগ্রত করে দয়ালু মনের মাধ্যমে ভালোবাসি মানুষ কে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেই ধনীর প্রাসাদ থেকে গরিবের জীর্ন ঘরে।ভালোবাসা ছড়িয়ে দেই বৃদ্ধ মায়ের মাথায় কোমল হাতের ছোয়াই। ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্ব মঞ্চে, “ভালোবাসার মঞ্চ” এর প্লাটফর্ম এ দাড়িয়ে।
দামী বিছানায় শুয়ে তুমি যখন প্রিয় মানুষকে অপূর্ণতার গল্প শুনাচ্ছো; ‘‘তখন রাতের শহরে কোন রিক্সাওয়ালা রিক্সার পাডেল মারছে কয়টা টাকা পাওয়ার জন্য। টাকা পেলে সংসার চলবে, অসুস্থ বাবার ঔষধ হবে। অথচ নোটবুক আর ফেসবুকে তোমার অপূর্ণতার শেষ নেই’’…..
তুমি যখন নতুন ফোনের জন্য মায়ের সাথে উচু গলায় কথা বলছো… তখন অন্য কোন ‘‘মা’’ সন্তানের ছিড়ে যাওয়া জামা সেলাই করার টাকার কথা চিন্তা করছে। ‘‘অথচ তোমার চকচকে পোষাক’’!
বাইকের জন্য বাবাকে যখন ‘‘ছোট লোক’’ বলে মনে-মনে গালি দিচ্ছো… তখন নজির উদ্দীন ‘পা’ বিহিন শরীরে নিয়ে মানুষের কাছে বেঁচে থাকার জন্য হাত পেতে যাচ্ছে। ‘‘তুমি যে হাঁটতে পারো এতে তোমার সন্তুষ্টি নেই’’ ….
রান্নায় ডাল কিংবা সবজি দেখলে তোমার মাথায় যখন রক্ত উঠে যায়… তখন রাস্তায় ফেলে যাওয়া আরসি কোলার বোতল কুঁড়িয়ে ‘‘এক প্লেট ভাত আর ডালে’র বন্দোবস্ত করছে—বস্তির টোকায়। তোমার সামনে খাবার পড়ে আছে বলে অভাব বুঝছোনা।
ব্র্যান্ডের শুয়েটার গায়ে দিয়েও যখন তোমার শীত মানছেনা… তখন স্টেশনের বারান্দায় সদ্য সন্তান জন্ম দেওয়া ‘‘মা’’ ছেড়া কাপড়ে শীত নিবারণের আ-প্রাণ চেষ্টা করছে… ‘‘তবুও তোমার মনে শান্তি নেই’’।
বন্ধুর বাইকের পিছনের বসে তোমার বাবাকে যখন অপারগ ভাবছো… তখন অন্য কোনো ‘‘বাবা’’ ইট ভাটার উতপ্ত আগুনের পাশে বসে আছে, সন্তানদের মুখে ডাল-ভাত তুলে দেবার জন্য। ‘ভাত খেতে পাও বলে অভাব চিনতে পারোনি।
কমদামী ফোন ব্যবহার করো বলে- বন্ধুদের সামনে নিজেকে যখন ছোট ভাবতে থাকো… তখন দু’হাত বিহীন মানুষটি ভাবছে কারো সাহাস্য পেলে বাথরুমে যাবে… ‘‘তোমার দু’হাত আছে; ফোন আছে; টিপতে পারছো, তবুও তুমি ভালো নেই’’…
তুমি যখন কী–র্বোড তুলোধনা করে ডিপ্রেশনের এক’শ একটি কারণ খুঁজে বের করছো… তখন ভার্সিটি পড়ুয়া কোন ভাই- রাতের শহরে মুখ ঢেকে রিকশা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে, সংসার খরচ আর মেস ভাড়া মিটানোর জন্যে। অথচ ‘‘তোমার হাতে- স্মার্ট ফোন’’ !!
‘‘বিশ্বাস করো…. ভালো না থাকার জন্য সহস্রটা কারণ তুমি বের করতে পারো, ভালো থাকার জন্য একটি কারণ বের করে ভালো থাকার সাহস যোগাতেই আমারা এসেছি এক ঝাক ভালোবাসার মানুষ। তুমি তোমার থেকে নিচে তাকাও; ভালো থাকতে শিখে যাবে।
আর এই ভালো থাকাটা শিখেয়ে যাবে “ভালোবাসার মঞ্চ” নিজের আমিত্ব কে ভুলে মানব সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া কঠিন মনে ভালোবাসা সৃস্টি করে সমাজের নিচু থেকে উচু তে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়া হলো এই সংগঠনের কাজ। আসুন ভালোবাসি অসহায় দের প্রচার করি ভালোবাসার আপনার আমার ভালোবাসার প্রচারেই একদিন গ্রাম হতে শহরে, শহর হতে দেশ-বিদেশ তথা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে ভালোবাসা। সূদুর নিউইয়োর্ক এ সাইয়েদ ওমায়ের ভাই এর লাগানো “ভালোবাসার মঞ্চ” নামক বৃক্ষের স্বর্ণলতা আজ বাংলাদেশের প্রতিটা শহরে বিদ্যমান, বসে থাকার আর সময় নেই প্রতিটা মানুষ চলেন ভালোবাসারর প্রচার করি নিজের অবস্থান থেকে তাহলেই বিশ্বটা হবে “বিশ্ব ভালোবাসার মঞ্চ “