বিমানবন্দরে নেমেই সবাই জানবে এটা ‘ল্যান্ড অব মুজিব’

18

অনলাইন ডেস্ক: দেশি হন কিংবা বিদেশি। একজন যাত্রী প্লেন থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলেই বুঝতে পারবেন- এটি ‘ল্যান্ড অব মুজিব’। বিমানবন্দরের ভেতরে-বাইরে বর্ণিল আলোকসজ্জা, প্রোজেক্টরে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, ওয়ালপেপার, বিলবোর্ডসহ যাবতীয় সাজ-সজ্জা চোখ ধাঁধিয়ে দেবে আগত যাত্রীদের। আসন্ন মুজিববর্ষ উপলক্ষে এমনই বর্ণিল সাজে সাজানো হবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঘোষিত মুজিববর্ষ উদযাপন হবে আগামী ১৭ মার্চ থেকে। বছরব্যাপী এ আয়োজনের শুরুর আনুষ্ঠানিকতায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের।

বিমানবন্দর সূত্র বলছে, মুজিববর্ষের আয়োজন ঘিরে শাহজালালে সর্বকালের সেরা ব্র্যান্ডিং ও সাজসজ্জার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের বাইরের অংশ থেকে শুরু করে প্রতিটি বোর্ডিং ব্রিজে লাগানো হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং তার জীবনচিত্র। প্রোজেক্টর বা ডিজিটাল স্ক্রিন স্থাপন করে সেগুলোতে প্রদর্শিত হবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র।

বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা বলছেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে শাহজালাল বিমানবন্দরে তিনটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে ব্র্যান্ডিং করা হবে। এক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে সর্বাগ্রে থাকবেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু। দ্বিতীয়টি, বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনের এ যাবতকালের উন্নয়ন এবং তৃতীয়ত, বিউটিফুল বাংলাদেশ। বিমানবন্দরের ওয়ালপেপার ও বিলবোর্ডে এসব বিষয় থাকবে। বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে দেশের দর্শনীয় স্থানগুলোর বর্ণনা থাকবে বিলবোর্ডে। গোটা বিমানবন্দরজুড়ে থাকবে বর্ণিল আলোকসজ্জা।

বিমানবন্দরের বহির্গমন বা ডিপার্চার লাউঞ্জে থাকবে বঙ্গবন্ধু কর্নার। সেখানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন বই থাকবে। বিদেশগামী অপেক্ষমানযাত্রীরা সানন্দে এগুলো পড়তে পারবেন, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে থাকবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। যেগুলো নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

এমন বর্ণিল আয়োজনের বিষয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল-আহসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘মুজিববর্ষে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ যাবতকালের সবচেয়ে সেরা সাজসজ্জা করা হবে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও জীবনচিত্র, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশনের নানা উন্নয়ন তুলে ধরা হবে বিমানবন্দরজুড়ে। যেন যে কেউ বিমানবন্দরে প্রবেশ করলেই বোঝেন, এটা ল্যান্ড অব মুজিব।’

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা যায়, সিভিল এভিয়েশনের এ যাবতকালের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও বিভিন্ন অর্জন ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে প্রদর্শনের জন্য ইতোমধ্যে দুই মিনিটের ভিডিও ক্লিপ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধুর কর্নারের জন্য ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিসংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন কার্যক্রম, বেবিচকের অর্জন এবং বিভিন্ন বিমানবন্দরের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের স্থিরচিত্র ও তথ্যাদি সহকারে পাঁচ মিনিটের একটি ভিডিওচিত্র প্রস্তুতের কাজ প্রায় শেষ।

অন্যদিকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দরে ১৭ থেকে ২৩ মার্চ বিশেষ সেবাসপ্তাহ পালন করা হবে। এ সপ্তাহে মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য আলাদা তথ্য ও সেবার বুথ স্থাপন করা হবে। হবে আলাদা ওয়েটিং লাউঞ্জও। এর আগে ১১ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত শাহজালাল বিমানবন্দরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে।