ভিক্ষা করতে যেতে হয় নিজ গ্রাম ছেড়ে অারেক গ্রামে। ঘুরতে হয় বাড়ি বাড়ি। কিন্তু এভাবে অার কতদিন। শরীরটাও বেশি ভালো থাকে না। অসুস্থতা যেন অক্টোপাসের মতো চেপেই ধরেছে। কিন্তু ভিক্ষা না করলে খাবে কী? ভিক্ষার ব্যাগটা নিয়ে হাঁটতেও কষ্ট হয় জানু বেগমের। বয়স প্রায় ৫৬ বছর। বাত ও বিভিন্ন রোগে অাক্রান্ত সে।
অাজ থেকে প্রায় ৩২ বছর অাগে তার হতদরিদ্র স্বামী এক দুর্ঘটনায় মারা যায়। স্বামীর বাড়ি সিলেট। কোন ছেলে সন্তান নেই। তবে দুটো মেয়ে থাকলেও তারা এখন স্বামীর বাড়িতে কোন রকম দিনাতিপাত করছে। মেয়ে বিয়ে হয়ে যাবার পর অসহায় সম্পদহীন নিঃসঙ্গ জানু বেগমের ঠাঁই হয় বাবার বাড়ি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার জীবন পুর (আব্দুল্লাপুর) মফিজ আলী মুন্সী বাড়ির ইনসাফ মার্কেটের পাশে। জানু বেগমের বাবা- ভাই কেহই নেই। একটি ভিটে অাছে তাতে টিনের ছাফড়া দিয়ে কোন রকম মাথা গুজার ঠাঁই করেছে এই জানু বেগম।
গ্রামের মানুষের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার পাশাপাশি ভিক্ষাই বাঁচার একমাত্র অবলম্বন জানু বেগমের। বিধবা কার্ডের জন্য চেষ্টা করেও বরাদ্দ পায়নি এখনো। কিন্তু পরকালের ডাক না পাওয়া পর্যন্ত পেটের জন্য সংগ্রামতো করে যেতেই হবে তার। একটি গাভী কেউ দান করলে হয়তো এটা লালন পালন করে বেঁচে থাকতে পারতো অার ভিক্ষা করা লাগতো না এই সহায় সম্বলহীন পুত্রহারা জানু বেগমের।
সমাজে অনেকেই অাছেন যারা বিত্তবান কিংবা মানবতার কাজ করেন। অসহায় মানুষের পাঁশে দাঁড়িয়ে যারা অাত্মতৃপ্তি পান তাদের কাছে এই জানু বেগমের বাঁচার একটি অবলম্বনের ব্যবস্থার দাবী যেন অসুস্থ বৃদ্ধ এই জানু বেগমের অার ভিক্ষা করতে না হয়।