বিতর্ক প্রতিযোগীতায় বিচারকের কাজ কি?

1292
নওগাঁ

মাহবুবুজ্জামান সেতু,নওগাঁ প্রতিনিধি: একজন বিচারকের কাজ হলো দল, মত, রক্তের বন্ধন,রাগ, অভিমান, সব কিছুর উর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষভাবে উভয় পক্ষের যুক্তি তর্ক স্বাক্ষ্য প্রমাণাদি চূলচেরা বিশ্লেষণে Free,Fair,transparent,credible রায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে বিচারকাজের ইতি টানা। অাপন মনের মাধুরী মেশানো তীক্ত অভিজ্ঞতার অালোকে অভিব্যাক্তিগুলো একজন অাদর্শ প্রধান শিক্ষকের।

যিনি মান্দা উপজেলার সুনামধন্য বিদ্যাপীঠ কয়াপাড়া কামারকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। নাম তার অাজহারুল ইসলাম।তিনি জানান,রায় প্রকাশ করতে গিয়ে যেনো বিচারকের চোখ উভয় পক্ষের জন্য ছলছল হয়ে ওঠে। বিচারকের আশন সবার ওপরে। কারো প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে রায় প্রকাশ করলে নির্দোষ, হকদার, মেধাবী মানুষের মন ব্যথায় ব্যথায় তলিয়ে যাবে,ডুবে যাবে।

এ রায় কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। কাজেই কোনো ক্ষেত্রেই এমন বিচারক কাম্য নয়।  বিচারক যদি আগে থেকেই কোনো পক্ষের জন্য মনের চোখে এবং স্মৃতিতে অবস্থান নিয়ে নেন, তাহলে সেখানে প্রতিপক্ষ যাোগ্য হওয়ার তরে যাই করুক না কেনো সফল হবে না। অশ্রুতে ভরে যাবে চোখ। রাস্তা চিনে বাড়িতে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছানো যাবে না।

সব দিকে শূন্যতা বিরাজ করবে। কষ্টের জায়গাগুলো কাউকে দেখানো যাবে না। রাত জেগে পরিশ্রম করার শ্রম বৃথা তা যেনো বার বার অনুরণিত হতে থাকবে। উৎসাহ হারিয়ে যাবে। অন্যায় এবং সত্য একই তারের দুটো ভিন্ন অবস্থান। আমি সত্য পক্ষের অবস্থান গ্রহণে এগিয়ে এসেছি।

“চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলায়” ছেলেদের নিয়ে গিয়েছিলাম। ওরা বিতর্ক করলো। নিজেদের পক্ষ্যে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরলো। Opposite পক্ষ্য তাদের মতো করে বিভিন্ন logic দেখালো। আমি উভয় পক্ষের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেছি,বুঝেছি। Emotion,logic,Circumstances এবং বাস্তব প্রেক্ষাপটে আমার প্রিয় স্নেহের শিক্ষার্থীরা তাদের Outstanding knowledge, apply করলো।

অামি অভিভূত,গর্বিত আমার তার্কিক Student দের জন্য। Sequentially they have done very well.Love for them all.
এখানে একটু বলে রাখি মোস্তফা আহম্মেদ মারুফ–পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে Talentpool এ Scholarship পেয়েছে।

মাস দুয়েক আগে রাজশাহী বিভাগের পক্ষে ঢাকায় গণিত অলিমপিয়াডে অংশ নিয়ে এলো। এই উপজেলার শ্রেষ্ট শিক্ষার্থী, নওগাঁ জেলার শ্রেষ্ট শিক্ষার্থী ।

এছাড়াও বহুত সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা বিষয়ে তার ভুরি ভুরি শ্রেষ্ঠত্বের সনদ রয়েছে।
ফাহিম রহমান ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে নওগাঁ জেলার শ্রেষ্ট বিজ্ঞান শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে বিভাগ পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করে এসেছে। রাফসান ইয়াসির ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে পি এস সি পরীক্ষায় মান্দা উপজেলায় Talentpool এ বৃত্তি পেয়ে মেধাতালিকায় ০১ নম্বরে স্থান করে নেয়।

এছাড়াও সরকারি বেসরকারি নানান প্রতিযোগিতায় তার বহুত শ্রেষ্ঠত্বের উদাহরণ রয়েছে।  অথচ সোনার ছেলেদের মন আজ ভালো নেই। বিতর্কের রায় তাদের বিপক্ষে গেছে। ছেলেদের মন খারাপ দেখলে আমি কি ভালো থাকতে পারি ! পারি না। এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। তাই ছেলেদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাথে শোক ভাগ করে নিয়েছি। তাদের চোখের জল মুছে দিয়েছি। আমরা বেদনায় একাকার হয়ে গেছি।

তাই এক বা একাধিক কেউ যদি আমার ছেলেদের প্রতি Injustice করে থাকেন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সজ্ঞানে, তাহলে তার বা তাদের বিচার স্বয়ং স্রষ্টার নিকট দাবী করছি। আর ন্যায়ের পথে রায় হলে আমার কোনো অভিযোগ নেই। কুইজ Competition এ লিখিত পরীক্ষায় আমার বিদ্যলয়ের ছেলেরা প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।