পলাশবাড়ী উপজেলায় যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে ১৬ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ যাত্রী। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে উল্টে যাওয়ায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার ভোর ৫টার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে উপজেলা সদরের বাঁশকাটা-ব্র্যাক মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। হতাহতদের অধিকাংশের বাড়ি ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী ও রানীশংকল এলাকায়।
পলাশবাড়ি থানার ওসি মাহমুদুল আলম জানান, অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে আলম এন্টারপ্রাইজ নামে যাত্রীবাহী একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৬৪২২) ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও যাচ্ছিল। বাসটি ভোর ৫টার দিকে সদরের বাঁশকাটা-ব্র্যাক মোড় এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ সময় বাসটি মহাসড়কের পাশে পর পর দুটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দ্বিখণ্ডিত হয়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৮ জন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত ৩০ যাত্রী। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
খবর পেয়ে গাইবান্ধা, গোবিন্দগঞ্জ ও পীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট উদ্ধার তৎপরতা চালায়। এ সময় বাসের নিচ থেকে ৮টি লাশ উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনায় নিহত ১৬টি লাশ হাইওয়ে পুলিশের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। নিহতদের পরিচয় ও লাশ হন্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
তবে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে উল্টে যাওয়ায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
এদিকে এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান ঘোষণা করা হয়।