বাংলাদেশের ধাতব মুদ্রা বাজারে অচল,বিলুপ্তির পথে ধাতব মুদ্রার প্রচলন

1313
বিশেষ প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত কোন তথ্যে- সরকার কর্তৃক ধাতব মুদ্রা অচল বলে গণ্য করা না হলেও,দেশের সকল যায় গায় পণ্য দ্রব্য ক্রয় বিক্রয়ে অর্থ আদান প্রদানের ক্ষেত্রে শহর,মফস্বল – গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন ছোট্ট বড় মার্কেট- বাজার থেকে অচল হয়ে পড়েছে ধাতব মুদ্রা।ধাতব মুদ্রা যেনো নাকশিটকানিতে পরিণত হয়েছে প্রতিটি মানুষের মাঝে।তাছাড়া বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে খুচরা ধাতব মুদ্রা নিয়ে বাক-বিতন্ডাসহ মারামারির ঘটনা।
কিন্তু বাস্তবিক অর্থে দেশের বড় ধরনের অর্থনৈতিক সম্পদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন ব্যক্তিবর্গ।খোদায় করে লিখিত ধাতব মুদ্রা থেকে পাওয়া যায় তার তৈরি ও প্রচলন।বিশেষ সন্ধান চিত্তে স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ সাল থেকে ধাতব মুদ্রার প্রচলন দেখা গেছে।
কিন্তু একটি দশ পয়সার মুদ্রায় দেখা যায় ১৯৭১ সাল খুদিত আছে। এই দশ পয়সা ছাড়া আর কোন মুদ্রায় ১৯৭১ সাল দেখা মেলেনি।
সচেতন অনেকের ধারণা যুদ্ধরত স্বাধীন বাংলাদেশে সরকারের প্রথম প্রচলিত মুদ্রা ওটা ।কিন্তু এখন ধাতব মুদ্রার প্রচলন প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে।এক পয়সা,দুই পয়সা,পাঁচ পয়সা ও দশ পয়সার মুদ্রা পুরোপুরি বিলুপ্ত।জানা গেছে রাষ্ট্র আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সকল মুদ্রার বিলুপ্ত ঘোষণা করেনি।এক টাকা ও দুই টাকার মুদ্রা এখনো কিছুটা চলমান তবে তা কদাচিৎ চোখে পড়ে।পাঁচ টাকার মুদ্রা চলমান,কিন্তু অনেক স্থানে এই মুদ্রা গ্রহন করতে চায়না।ক্রেতা বিক্রেতা অনেকের মাঝে দেখা যায় ওই সব মুদ্রার প্রতি অনিহা ভাব, এমনকি নাকশিটকানির দৃশ্য অনেকের মাঝে ফুটে ওঠে।এক সময় বাংলাদেশে ধাতব মুদ্রার প্রচলন ছিল ব্যাপক।রাষ্ট্রে মূল্যস্ফিতির সাথে সাথে মুদ্রার অংকের মান কমে যায়।
এই কারনে মুদ্রার ব্যাবহারও কমে আসে। বর্তমানে পাঁচ টাকার একটি মুদ্রায় এক কাপ চা অথবা একটি খিলি পান ছাড়া আর কোন পণ্য কেনা যায়না।ধরা যায় দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতি যেখানে,সেখানে অর্থের মূল্য কম।যেটা সচেতন মহলেও আলোচিত বটে।এছাড়াও কারন হিসেবে সচেতন অনেকেই মন্তব্য করেন,বহন করতে ঝামেলা,ছোট বড় বিভিন্ন পরিমাণের টাকার নোট বাজারজাতকরণে আগ্রহ বৃদ্ধি,দ্রব্য মুল্যের সাথে অ-সামজস্বত্যা আদান প্রদান,টাকার নোট বহন করতে সুবিধাসহ বিভিন্ন লেনদেন মুখি সুবিধাভোগে মানুষ নিজেরাই দেশের মুল্যবান সম্পদ বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই।এমনকি বহনসহ ব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রেও অসুবিধা লাঘবে বড় বড় কোম্পানির কর্মচারীরা দেশের ছোট বড় বাজার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিতে নারাজ বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলাসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন ছোট বড় মুদি দোকানীরা আপত্তি তুলেছে।
উপজেলার দেয়াড়ার মুদি দোকানী কবিরুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন,সিগারেট কোম্পানি থেকে শুরু করে অন্যান্য কোম্পানির লোকেরা খুচরা পয়সা নিতে নারাজ।বহনসহ ব্যাংক লেনদেনের অজুহাতে তারা খুচরা পয়সা নিতে চাই না।জোর দাবির উপরে পাঁচ টাকার কয়েন কিছু কিছু কোম্পানি লোকের কাছে ধরিয়ে দিতে হয়।ছোট খাটো খুচরা ব্যবসায়ীরা ক্রেতা সাধারণের কাছ থেকে নেওয়া লাগে। কিন্তু সেটা যদি দিতে না পারি তাহলে তাদের মত ছোট ব্যবসায়ীদের ওই ১-৫ টাকার কয়েন ফেলে রেখে আর্থিক সমস্যায় ভুগতে হয় বলে জানান জনৈক কবিরুল ইসলাম সহ অনেকেই ।এজন্য আস্তে আস্তে দেশের সকল যায়গা থেকে বিলুপ্তির পথে বড় অংকের অর্থনৈতিক দিক ধাতব মুদ্রার প্রচলন বলে মনে করেন অনেকেই ।
বিশিষ্ঠজনেরা দেশের অর্থনৈতিতে বিরাট অংশ ঘাটতির হাত এবং আদান প্রদানের ভোগান্তি থেকে রক্ষা করতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন।