ইয়াহু মেসেঞ্জার অনেকের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো তাৎক্ষণিক বার্তা আদান-প্রদান সেবায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল ইয়াহুর এ সেবা।
অথচ আগামী মাসেই সেটি সবাইকে বিদায় জানাতে যাচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে বন্ধু, পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে ২০ বছরেরও বেশি সংযোগ স্থাপন করে অবশেষে আগামী ১৭ জুলাই পুরোপুরি বন্ধ হতে যাচ্ছে ইয়াহু মেসেঞ্জার।
১৯৯৮ সালে ইয়াহু মেসেঞ্জার চ্যাটসেবা চালু হয়। প্রযুক্তি বিশ্বে যোগাযোগের অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে এটি বেশ জনপ্রিয় ছিল।
তবে গুগল টক, ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো সেবাগুলোর সঙ্গে কোনোভাবে পেরে উঠছিল না এটি। ক্রমে ব্যবহারকারী কমছিল। গত বছরের ডিসেম্বরে অ্যাপ্লিকেশনটি জনপ্রিয় করার আরেকটি চেষ্টা চালানো হয়।
কিন্তু যারা এখনও এ মেসেঞ্জার ব্যবহার করেন, তাদের কী হবে?
বলা হচ্ছে- যারা এ মেসেঞ্জার ব্যবহার করছেন, তাদের ইয়াহুর নতুন গ্রুপ মেসেজিং অ্যাপ স্কুইরেলে পাঠিয়ে দেবে ইয়াহু কর্তৃপক্ষ।
তবে ইয়াহু তার ব্যবহারকারীদের জানিয়ে দিয়েছে, ইয়াহু মেসেঞ্জারে যাদের চ্যাট হিস্টোরি আছে, চলতি বছরের নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত কম্পিউটার কিংবা ডিভাইসে তারা তা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
প্রথমে তাদের ডাউনলোড রিকোয়েস্ট সাইটে গিয়ে সাইন ইন করতে হবে। ভ্যারিভিকেশন মেথড সিলেক্ট করার পর ব্যবহারকারীকে অ্যাকাউন্ট কি বসাতে হবে। এর পর ডাউনলোডে ক্লিক করে ফাইলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
মাস ধরে স্কুইরেল নামের গ্রুপ মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনটি পরীক্ষামূলকভাবে চালানো শুরু করেছে ইয়াহু। ইয়াহু মেসেঞ্জার বন্ধ হলে এটি উন্মুক্ত হবে।
যারা স্কুইরেল ব্যবহারে আগ্রহী, তারা পরীক্ষামূলক অ্যাপটি চালাতে পারবেন।
অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে নতুন অ্যাপ আনার পাশাপাশি ওয়েব সেবাটিও হালনাগাদ করা হয়।
এর আগে ২০১৫ সালে পুরনো মেসেঞ্জার বাদ দিয়ে ইয়াহু মেসেঞ্জারের নতুন সংস্করণ ছাড়া হয়েছিল। তাতে নতুন নকশা, নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছিল। কিন্তু এখানকার হোয়াটসঅ্যাপ, স্ন্যাপচ্যাটের যুগে ইয়াহু মেসেঞ্জার সাড়া জাগাতে পারেনি।