আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে পিতার চিকিৎসার টাকা না দেওয়ায় ছোট ভাই আপন বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর হত্যা চেষ্টাকারী জিয়ারুল সরদার সবুরের পরিবারকে মুঠোফোনসহ বিভিন্ন কায়দায় হুমকী দিয়ে চলেছে। জখম ব্যাক্তি আশঙ্কা জনক অবস্থায় যশোর ২৫০ শষ্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হত্যার চেষ্টাকারী জিয়ারুল সরদার এখনও পর্যন্ত এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছে। জিয়ারুল সরদারের হুমকীর কারণে সবুরের পরিবার থানায় অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছে না বলে জাকিয়া বেগম জানান।
উল্লেখিত উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের আহত আব্দুস সবুর সরদারের (৪০) মেয়ে চোহরা খাতুন সাংবাদিকদের জানান বুধবার দুপুরে আমার দাদা কওছার সরদারের চিকিৎসার জন্য আমার পিতা সবুরের কাছে টাকা দাবী করেন। তখন আমার পিতা সবুর ছোট চাচা জিয়ারুল সরদারকে বলেন, পিতার সমস্ত সম্পত্তি তুই নিজেই করে খাস। এখন আমার পক্ষে চিকিৎসার টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বললে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে কওছার আলী সরদারের ছেলে জিয়ারুল সরদার এক দফা মারপিট করা হয়।
এর পর আমার পিতা সবুর বাড়ির পাশে কচু ক্ষেতে কাজ করছিল। হঠাৎ করে জিয়ারুল সরদার গাছি দা হাতে নিয়ে আমার পিতাকে কুপাতে থাকে। তখন আমার পিতা দৌঁড়ায়ে জীবন রক্ষার জন্য পালাতে থাকে। তাকে ওই মুহুর্তে ধরে এনে কচু ক্ষেতের পাশে একটি ডুবার মধ্যে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে মৃত ভেবে ফেলে চলে যায়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ হয়নি বলে আহতর মেয়ে জানান। এব্যাপারে মুঠোফোনে জিয়ারুল সরদারের কাছে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।