নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষন করায় যার নেশা। অবশেষে বিয়ের দাবিতে ভূক্তভোগী প্রেমিকার অনশনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন বকুল নামে এক ছাত্র। সে সতিহাট কে. টি উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন ছাত্র এবং গনেশপুর ইউপির শ্রীরামপুর গ্রামের সতিহাট শহীদ মিনার মার্কেটের হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী অাব্দুর রউফের ছেলে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওর বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার সতিহাট বাজার বাসষ্ট্যান্ডের দক্ষিণ পার্শে শ্রীরামপুর গ্রামে। ওর বাবার নাম আব্দুর রউফ।ওর বাবা একজন হার্ডওয়্যার সামগ্রী বিক্রেতা। ও এর আগেও স্থানীয় হলুদ ব্যবসায়ী খোরশেদ এর মেয়ে সাথেও প্রেমের অভিনয় করে নিজেদের এক্স ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল করে। পরবর্তীতে ১০ লক্ষ টাকা মোহরানা দিয়ে মিয়েটিকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। কিন্তু ছেলেটি নেশাখোর হওয়ার কারণে মেয়েটিকে অনেক অত্যাচার করতো সেকারনে মেয়েটি আর তার সাথে সংসার করতে পারে নি। নিজে নিজে তাকে স্বামী তালাক দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এরপর আবার একই উপজেলার মৈনম ইউপির দূর্গাপুর চেয়ারম্যানের মোড়ের দক্ষিণ পার্শ্বে খলিলুর রহমানের মেয়ে সতিহাট জি.এস বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে পটিয়ে একাধিকার শারিরিক সম্পর্ক করে বলে জানান ভূক্তভোগী নিজেই। তার কাজই হলো স্কুল কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের কে পটিয়ে অর্থাৎ বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষন করা। বর্তমানে ইয়াবা ট্যাবলেট খেয়ে ধর্ষন করা তার নেশায় পরিনত হয়ে গেছে।
এসব কারণে সম্প্রতি তার একটি ভিডিও হামাকে লগাঁও সহ একাধিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাইরাল হয়। আর এ জন্য সে রাগে ক্ষোভে অভিমানে নিজের প্রতি ঘৃণায় সমাজে আর মুখ দেখাতে না পেরে গতকাল সোমবার বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেন। বর্তমানে সে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বকুলের বাবা আব্দুর রউফ সংবাদকর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক অাচরণ করে ছেলের নোংরামি এবং বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করার বিষয়টি এড়িয়ে যান। স্থানীয়দের দাবী যে, ছেলেটির নষ্টামির পেছনে ওর বাবা মায়ের আসকারা আছে। আর সেকারণেই ছেলেটি এতোটা বেপরোয়া। শুধু তাই না, ও নেশার ঘোরে অনেক সময় নিজের বাবা মার কাছ থেকে নেশার টাকার জন্য অধিকাংশ সময় মারপিট করে থাকে বলেও জানান স্থানীয়রা। তার একটা বিহীত হওয়া দরকার। তাছাড়া ও রকম একটা নষ্টা ছেলের প্রেমের ফাঁদে পড়ে আর কতজন নিজের ইজ্জত হারাবে? এমনটিই প্রশ্ন সচেতন মহলের।