নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা বিআরটি এ অফিস এর নিচ থেকে প্রতারন ও জালিয়াতির অভিযোগে দালাল চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সাতক্ষীরা কোর্ট চত্বর থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির নাম হাফিজুল আলম (রিপন) (৩১)। সে সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের আফসার উদ্দীনের ছেলে ।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় রিপন সাতক্ষীরা বিআরটি আফিসের নীচে বসে দীর্ঘদিন যাবৎ অফিসের নানা কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে আসছিল। অফিস থেকে যে কাজ ফেরৎ দেয়া হত সে কাজ সে করে দিতো জালিয়াতি করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোর্টের এক জন মুহুরি জানান রিপন প্রথম দিকে শুধু জমির পর্চা উঠানোর কাজ করত। তবে বর্তমান জেলা প্রশাসকের যোগদানের পর তিনি এই বিষয়ে নজর দিলে রিপনের কাজের পরিধি কমে যায়। তারপর থেকে সে বিআরটি এর কাজ করা শুরু করে ।
তিনি আরও জানান রিপনের বর্তমানে আট জন নিয়োগকৃত লোক আছে যারা তার সকল কাজ সামলায়। সে প্রতিনিয়ত মানুষের কাছ থেকে বিআরটি এর নানা ধরনের কাজ করিয়ে দেওয়ার নাম করে বিপুল অর্থ আদায় করে আসছিল। শুধু তাই নই সে এক দিকে একজন ডাক্তারও বটে । পেশাদার লাইসেন্স প্রদানের জন্য যে ডাক্তারি সনদপত্র দরকার হয় তা সে নিজে প্রদান করে আসছিল । তার হাত নাকি অনেক লম্বা। বিষয়টি সাতক্ষীরা বিআরটি এ অফিসের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ চৌধুরীর নজরে আসলে তিনি জেলা প্রশাসক মহাদয়কে জানান।
তিনি বিষয়টি তদন্তে তাৎক্ষনিক ব্যবস্তা নেয়ার কথা বললে, মানুষের সাথে প্রতারণার অভিযোগে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনিন্দিতা রায়ের নেতৃত্বে থানা পুলিশ তাকে আটক করে। এই সময় তার কাছ থেকে নগত ৭০৯৯০ টাকা, মটর সাইকেলের একনলেজমেণ্ট ফরম,মালিকাানা পরিবর্তনের ফরম, এন আর বি তি ব্যাংকে টাকা জমার রশিদ, বিভিন্ন মেডিকেল অফিসারের সত্যায়িত করার সিল ও আরও অনেক কাগজপত্র।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা বিআরটি এ অফিসের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ চৌধুরী বলেন তার দপ্তরের সকল কার্যক্রম খুব সচ্ছতার সাথে পরিচালিত হয়। আমার অফিসের সেবার দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত। আমরা চেষ্টা করছি আমার আফিসের সকল কর্যক্রম যেন ডিজিটাল হয়। আমি কখনও কোন দুর্নীতির সাথে আপস করব না। এই ধরনের প্রতারক চক্র থেকে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের কার্যক্রম অভ্যাহত থাকবে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে হাফিজুল আলম (রিপন) এর বিরুদ্ধে বিআরটি সাতক্ষীরার অফিস সহকারী নাছির উদ্দীন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-২৩,৮/৮/২০১৮।