আলমগীর কবীর(ঘোনা)প্রতিনিধি:: সাতক্ষীরা জেলা শহর সহ সদরের ঘোনা, বৈকারী, কুশখালি,বাঁশদহাসহ পাশ্ববর্তী গ্রামে বিগত কয়েকদিন যাবত প্রচন্ড গরমে মানুষজন প্রায় সকলে অস্হিরতাবোধ করছে।প্রায় সপ্তাহজুড়ে অতিরিক্ত তাপদাহের কারনে স্বস্তির লেশটুকু হারিয়ে ফেলেছে সাধারণ মানুষ ।
তার মধ্যে যত্রতত্র হঠাৎ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আরো হতাশা সৃষ্টি করে তুলছে। গরম যত বাড়ছে লোডশেডিং ও তত বাড়ছে। শহরের তুলনায় গ্রামে লোডশেডিং আরো বেশি লক্ষণীয়।নেই কোনো বৃষ্টির দেখা।গরমে অতিষ্ট সকল শ্রেনীর মানুষ। যদিও হালকা ও মাঝারি বাতাস বইছে তবুও যেন গরম বেড়েই চলছে। যার ফলে, কর্মজীবী মানুষেরা তীব্রতর রোদে বাড়ির বাহিরে কর্মস্থলে যেতে কুন্ঠাবোধ করছে। দিনের কথা থাক,সারাদিন কাজকর্ম শেষে রাতে বিছানাতে তো ঘুম পড়া খুব কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে।
বিগত সপ্তাহের আগে বৃষ্টি হয়ে তারপর বেরিয়ে এলো প্রখর রৌদ্র,অসহনীয় তাপমাত্রা তা যেন সইবার মত নয়। অসহ্য গরমের বিষয়ে কয়েকজন বলেছে যে, রাতে এপিঠ-ওপিঠ করে সারারাত কেটে যায়। রাত আর রাত-দিন মিলিয়ে অঝরে ঘাম তো ঝরতে থাকছেই।হঠাৎ এই অসহ্য গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকে।
সাধারণ মানুষ খুজে বেড়াচ্ছে কোথায় পাবে একটু ঠান্ডা হিমেল জায়গা। বৈদ্যুতিক ফ্যানের বাতাসও কোনো কাজ হচ্ছে না।রাস্তার ধারে কুকুর গুলোর দেখা গেছে জিহ্বা বের করে ধুকছে আর হাফশী কাটছে।কুকুর গুলো সহ্য করতে না পেরে পুকুরের পানি নেমে খেলা করছে।
আর, প্রখর রৌদ্রে অত্যাধিক তাপমাত্রা হওয়ায় সাধারণ খেটে মানুষেরা একটু শান্তির বাতাস পেতে দিক বি দিক ছুটাছুটি করছে। একমাত্র আল্লাহর অশেষ রহমতের বৃষ্টিই জনসাধারণের শান্তি ও স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে পারে।