পুরাতন জায়গা ফেলে রেখে ঘরবাড়ী ভেঙ্গে স্লুইচ গেট নির্মানের চেষ্টা বুধহাটায় স্লুইচ গেট নির্মানের নামে ভুমিহীনদের উচ্ছেদের পায়তারা

8
লাল সবুজের কথা- Lal Sobujer Kotha

সোহরাব হোসেন ,বিশেষ প্রতিনিধি আশাশুনিঃ আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় স্লুইচ গেট নির্মানের নামে ভুমিহীনদের উচ্ছেদের পায়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘ দিনের পুরাতন গেটের জায়গা ফেলে রেখে ঘনবসতি ভুমিহীনদের জায়গায় নতুন স্লুইচ গেট মির্মানের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লায় বিষয়টি নিয়ে নানান গুঞ্জন সৃষ্টি হতে দেখা গেছে।

অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিছু কুচক্রি মহল ভুমিহীনদের জায়গা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজার বুড়ো পীরের দরগাহ সংলগ্ন স্থানে বেতনা নদী থেকে সৃষ্ট এক ফোঁকড়ের গেটটি র্দীর্ঘদিন ধরে জরার্জীন অবস্থায় পড়ে আছে। গেটটি অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে কুল্যার মোড়ের পূর্ব পাশ পর্যন্ত ও বুধহাটা পেট্রোল পাম্প এর পশ্চিম পাশ পর্যন্ত একটি খাল কোন রকম বেঁচে আছে। খালের দুইধারের সাধারণ মানুষ ও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এসকল খালগুলো বিভিন্ন ভাবে দখল করে নিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে কুল্যা, বুধহাটা ও সদরের হাসাবপুর গ্রামের পানি এ খাল দিয়ে নিষ্কাশন হয়।

এছাড়া বাকী অন্যান্য মাস গুলো খালটি মরা খালের মত পড়ে থাকতে দেখা যায়। এলাকার মানুষের সুবিধার্থে খালটি পূর্ণ সংস্কার ও অবদার ভেড়ীতে একটি স্লুইচ গেট নির্মান করা হবে জানান স্থানীয়রা। কিন্তু পূর্বের গেটের স্থানে নতুন স্লুইচ গেট নির্মান না করে প্রায় ৩০/৩৫টি ভুমিহীন পরিবারকে রাস্তায় বসিয়ে এ স্লুইচ গেট নির্মান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় অসহায় ভুমিহীন জনগন। জানাগেছে বুধহাটা মৌজার ০১নং খাস খতিয়ানের ১২৬১নং দাগে বেতনা নদীর অপদায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ব্লু-গোল্ড একটি নতুন স্লুইচ গেট নির্মান করবেন। স্থানীয়রা জানান বেতনা নদী প্রায় মৃত, আর খালটি দিয়ে পানি নিষ্কাশন হওয়া ছাড়া লোকালয়ে নদীর পানি প্রবেশ করে না। আমাদের বাসস্থান আগে, স্লুইচ গেট পরে।

আমাদের বসতি জায়গায় গেট নির্মান হলে আমরা কোথায় যাবো? এলাকাবাসী জানান আমাদের বাপ-দাদার আমল থেকে কয়েক যুগ ধরে আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে এখানে বসবাস করছি। পুরাতন স্লুইচ গেটের স্থানে নতুন স্লুইচ গেট নির্মানের দাবী জানিয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনে জেলা প্রশাসক এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।