পাটকেলঘাটা হারুণ-অর রশিদ কলেজে চলছে গভীর ষড়যন্ত্র

23

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পাটকেলঘাটা হারুন-অর- রশিদ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র । ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপিঠটি পাটকেলঘাটা থানা সদরে অবস্থিত । কলেজটির সদ্যবিদায়ী অধ্যক্ষ ওয়াজিহুর রহমান খান বিগত ৬ জুন অবসরে যাওয়ার পূর্বে কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে প্রাসাদষড়যন্ত্র শুরু নানা ভাবে । অধ্যক্ষ ওয়াজিহুর রহমান খান ছিলেন বি.এন.পি পন্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ হাবিবুল ইসলাম কর্তৃক নিয়োগকৃত। আতিয়ার রহমান আওয়ামীগ পরিবারের সদস্য ও জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি,সরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য ।

অধ্যক্ষ ওয়াজিহুর রহমান অবসরে গেলে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মাহাজোটের মাননীয় সংসদ সদস্য সাতক্ষীরা-১ জনাব মুস্তফা লুৎফুৃৃল্লাহ সবাইকে অবাক করে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন বিএনপি নেতা, তৎকালীন এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহচার ও হাবিবের আমলে নিয়োগকৃত (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ অত্র কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের সহকারি অধ্যপক মোঃ হাবিবুর রহমান কে! এদিকে কোন কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই কলেজ গভর্র্নিং বডি মোঃ আতিয়ার রহমানের বেতন ভাতা ১১ মাস ব্যপি বন্ধ করে দেন। বেতন ছাড়ের বিষয়ে সকল অনুরোধ-সুপারিশ ব্যর্থ হলে মোঃ আতিয়ার রহমান মাননীয় প্রধানমস্ত্রী বরাবর আবেদন করলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিদের্শনা অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে মাউশি কর্তৃপক্ষ মোঃ আতিয়ার রহমানকে বেতন ভাতা প্রদানের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিদের্শ দেওয়ার পরও বেতন ভাতা না দিয়ে অধ্যক্ষ বাদী হয়ে তার নামে মিথ্যা চাঁদাবাদী মামলা দায়ের করেন। মামলা নং পাটকেলঘাটা থানা-জি আর ১১২/১৭, তারিখ ১৭/১২/২০১৭খ্রিঃ ।

পুলিশি তদন্তে মোঃ আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় থানা তাকে ফাইনাল রিপোর্ট দিলে অধ্যক্ষ ওয়াজিহুর রহমান খান আদালতে উক্ত ফাইনাল রিপোর্টের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন দেন। শুনানী অন্তে চীপ জুটিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, সাতক্ষীরা নারাজির প্রার্থনা খারিজ করে মোঃ আতিয়ার রহমানকে অব্যাহতি প্রদান করেন। শ্রেণী কক্ষে পাঠদান কালে জনৈক ছাত্রী ‘লটকন’ ফল খেয়ে ক্লাশে বমি করলে উক্ত ‘লটকন’ সরবরাহকারী ছাত্রীকে সামান্য বকা-ঝকা এবং দাঁত ও মুখের পরিচর্যা করার তাগিদ দানের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি আবারও তাকে ফাঁসাতে ছাত্রী উত্তাক্তের মিথ্যা অভিযোগ এনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিধি-বর্হিভূত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত কমিটিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আতিয়ার রহমান কে অন্তর্ভূক্ত করা হলে তিনি সরেজমিনে দু’দফা তদন্ত করে অভিযোগের বিষয়ে সুনিদিষ্ট কোন সত্যতা পান নাই। এদিকে মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলার স্বাক্ষীগণ (তদন্ত কর্মকর্তা) পরিকল্পিত ভাবে মোঃ আতিয়ার রহমানকে ফাঁসাতে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয় উক্ত তদন্ত কমিটি গঠনের অনিয়ম সম্পর্কে এম.পি মহোদয়কে অবহিত করেছেন। এতদসত্ত্বেও উক্ত বিধি-বহির্ভূত ও উদ্দেশ্যমুলকভাবে গঠিত তদন্ত কমিটির দাখিলকৃতা প্রতিবেদনের আলোকে বিগত ০৯/০৮/২০১৮ খ্রিঃ মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গভর্নিং বোডির সভায় বিনা কারণ দর্শানোর নোটিশে আত্মপক্ষ সর্মথনের কোন সুযোগ না দিয়ে মোঃ আতিয়ার রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বিষয়টি এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। বিগত জোট সরকারের আমলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ক্লাসে জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ‘পাঠক’ বলার অপরাধে সাবেক সংসদ সদস্য সাতক্ষীরা-১ মোঃ হাবিবুল ইসলাম হাবিব মোঃ আতিয়ার রহমানকে সুদীর্ঘ ৫ বছর (জোট সরকারের পূর্ণ মেয়াদ) সাময়িক বরখাস্ত করেন। তত্তাবধায়ক সরকাররের আমলে জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরার হস্তক্ষেপে তিনি স্বপদে বহাল হন।

বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে বর্তমান ও বিগত পরীক্ষায় পাশের হাস ধস নেমেছে। এ দিকে সংশ্লিষ্ঠ অভিভাবক ও স্থানীয় সচেনত মহলের দাবি যাহাতে মানসম্মত শিক্ষা পরিবেশ আসে সেই ব্যবস্থা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষে হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।