পাটকেলঘাটায় গত দু’দিনের অবিরাম বর্ষণে ডোবা পুকুর পানিতে টইটুম্বুর

108

এস.এম মফিদুল ইসলাম, পাটকেলঘাটা: গত দু’দিনের অবিরাম বর্ষণে পাটকেলঘাটার নানাবিধ এলাকাসমুহের ডোবা, পুকুর, খাল, বিল, নদী নালা পানিতে টই টুম্বুর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সারাদিন গুড়ি গুড়ি কখনও জোরে সোরে আবার থেমে থেমে বৃষ্টি হতে দেখা মেলে । অধিকাংশ ফসলি ক্ষেত পানিতে ভরে গেছে। আমন ধানের বীজতলা এতে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। পাটগাছ কাটার সময় চলমান থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টিতে অনেকে পাটগাছ কাটা থেকে বিরত আছেন। ডোবা পুকুর ঘের গুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেকে মাছ উঠে যাওয়ার খবরও পাওয়া যায়। গ্রাম্য রাস্তাঘাটা পানিতে ডুবে যাতায়াতের মারাত্বক বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন সকলে। কর্দমাক্ত হয়ে অনেকে প্রয়োজনের তাগিদে অন্যত্র যাতায়াত করছেন। যে সকল এলাকা নিচু সেখানে পানি জমাট বেধে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রুপ নিয়েছে। জরুরী তাগিদে প্রয়োজন ছাড়া তেমন কাউকে বাড়ির বের হতে দেখা মেলেনি। অফিস, আদালত, কলেজ, স্কুলের শিক্ষার্থী ও চাকুরীজীবীগণ রেইনকোর্ট ব্যবহার করে ছুটে চলতে দেখা মেলে। জীবিকার তাগিদে অনেকে কাজ করতে না পারায় পুকুর খালে নদীতে কোমরে থলে বেধে মাছ মেরে সংসারের এমনকি বিক্রির জন্য অর্থ উপার্জন করে। অনেকের পানের বরজ পানিতে তলিয়ে গেছে। থানার কুমিরা ইউনিয়নের আব্দুস সালামের পুত্র শহিদুল ইসলাম জানান, আমার বিঘা খানেকের মতো পানের বরজ গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণে যেন তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিতে ভিজে পুড়ে নালা করে দিলে পানি অনেকটা সরে গেছে। নইলে পান গাছ গুলো জলাবদ্ধতায় হয়তো মারা যেতো। ভ্যান চালক ফিদ্দুস জানান, সংসার পরিচালনার একমাত্র হাতিয়ার আমার ইঞ্জিন ভ্যানটি। বৃষ্টিতে লোকজন না পাওয়ায় সারাদিন উপোস গেল। দোকান পাট খুললেও কাস্টমার না থাকায় অনেকের মুখে হাত উঠে গেছে।