নবজাতকের নাম ঠিক করতে পরিবারের ভোট!

11
নবজাতকের নাম ঠিক করতে পরিবারের ভোট!
নবজাতকের নাম ঠিক করতে পরিবারের ভোট!

সন্তানের নাম কী রাখবেন তা নিয়ে বিপাকে পড়ে অনেকে শরণাপন্ন হন কবি-সাহিত্যিকদের, কেউ খোঁজেন অভিধান, কেউ আবার চিরাচরিতভাবে পরিবারের বড়দের দেয়া নামটাই রেখে দেন।

কিন্তু এসব সনাতন পদ্ধতির ধার ধারেননি ভারতের মহারাষ্ট্রের গোন্ডিয়া জেলার বাসিন্দা মিঠুন আর মানসী বাং। খবর বিবিসির।

নবজাতকের নাম ঠিক করতে এ দম্পতি আয়োজন করে এক ভোটাভুটির। কারণ তাদের ছেলে বড় হয়ে নেতা হবে বলে ঠিকুজিতে দেখা গেছে।

ছেলে হওয়ার পর শ্বশুরবাড়ি থেকে তার জন্মকুণ্ডলি তৈরি করা হয়। শ্বশুরমশাই ঠিকুজি দেখে বলেছেন, ছেলে একদিন নেতা হবে।
যে ছেলে বড় হয়ে একদিন নেতা হবে, সেই ছেলের নাম কী রাখা যায় তা নিয়ে অনেক ভেবেও কূলকিনারা করতে পারছিলেন না ওই দম্পতি।

তার বড় ভাই আর তার স্ত্রী বলেছিলেন এক নাম, বোনরা বলেছিলেন আরেক নাম। আর তাদের ছেলেমেয়ে আরেক নাম প্রস্তাব করেন।

শেষ পর্যন্ত নবজাতকের নাম ঠিক করতে ভোটের ব্যবস্থা করেন ওই দম্পতি। ব্যাস! যেমন কথা তেমন কাজ। সামাজিক কাজকর্মে জড়িত থাকার সুবাদে আর আত্মীয়পরিজনদের মধ্যে একজন সাবেক সংসদ সদস্য থাকার ফলে কীভাবে ভোটের আয়োজন করতে হয় সেটি তার কিছুটা জানাই ছিল।

জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কিছুটা খাতির আছে শিশুটির বাবার। তাই তাদের কাছে একটি ইলেক্ট্রনিক ভোটযন্ত্র চেয়েছিলেন।

তারা তা দিয়েও দিতেন; কিন্তু তার কয়েকজন বন্ধুই বারণ করে বললেন, ওটা নির্বাচন কমিশনের সম্পত্তি। সেটি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। তখন ব্যালট পেপার ছাপা হল। নির্বাচন কমিশনের আদলে ‘শিশুর নাম নির্বাচন কমিশন’ বানানো হল। তাদের এক আত্মীয় আর একজন শিক্ষক এ কমিশনের সদস্য হলেন।

১৫ জুন ছিল তাদের সন্তানের নাম নির্বাচনের ভোটের দিন। তাই ব্যালট পেপার ছাপার পর তৈরি হয়েছিল ব্যালট বাক্স। ভোট দেয়ার জন্য ঘেরা জায়গা, তিনটি নামের প্রস্তাব যারা দিয়েছিলেন, তাদের নামে হোর্ডিং -সবই ছিল একেবারে নির্বাচনের মতো।

ভোটের আগের দিন সব অতিথি অভ্যাগতদের অনুরোধ করা হয়েছিল ভোট দেয়ার জন্য। সন্ধ্যাবেলায় সবাই আসার পর যখন ঘোষণা করা হল ভোট দেয়া শুরু হচ্ছে, মঞ্চে লাইন লেগে গিয়েছিল।

অতিথিদের মধ্যে এলাকার সাবেক সংসদ সদস্যও ছিলেন। প্রায় ২০০ ভোট দেন। তারপর ভোট গণনা করে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়।