নিজস্ব প্রতিনিধি : অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগের কারনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে এক কৃষক গুরুতর অসুস্থ হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও মিলছেনা কোনো প্রতিকার। ঘটনাটি পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা ইউনিয়নের চোকারকান্দা গ্রামের। পাটকেলঘাটা থানার লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, মো. আমির হামজা সরদারের পুত্র মো. আব্দুল্লাহ গত ২৪ এপ্রিল (বুধবার) চোকারকান্দা গ্রামের বাবুর আলী গাজীর পুুত্র মো. মালেক গাজী এবং মালেক গাজীর পুত্র মো. সাদ্দাম হোসেনের নামে অভিযোগ করে বলেন, গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকাল ৫টার সময় তার শালা মৃত সামছুর গাজীর ছেলে মহিবুল্লাহ ওরফে মহিবুর (২৬) নগরঘাটা চোকারকান্দা বিলে নিজ সবজি খেতে কিটনাশক স্প্রে করছিলো। স্প্রে করতে করতে জমির সীমানার কাছাকাছি গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠে আজ্ঞান হয়ে পড়ে। গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘটনা, সাদ্দাম হোসেন এবং তার পিতা মালেক গাজী তাদের বাড়ির আবাসিক মিটার থেকে অবৈধভাবে মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে ইরি ধানের মটর চালিয়ে ধান ক্ষেতে সেচ কার্যাদি সম্পন্ন করে। এরকম দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কার কথা মনে করে তাদের কয়েক দফা বলেও তারা কর্ণপাত করেন নি। তাদের এরকম অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগের জন্য আমার শালা প্রায় মারা যাচ্ছিলো। তিনি আরো জানান, আমি যদি মামলা না তুলে নেই তাহলে বিবাদিরা আমার বড় শালা হাবিবুল্লাহর ৭ বছরের পুত্র সন্তানকে পানিতে ডুবিয়ে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছেন। উল্টো তারা আমাদের নামে মামলা করবেন বলেও হুমকি দিচ্ছেন।
অবৈধ সংযোগে বিদ্যুত লাইন ব্যবহার করছে এমন সংবাদের খবর পেয়ে পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুত সমিতির সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ সরোজমিনে দেখলেও তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিনি সাদ্দাম হোসেন ও মালেক গাজীদ্বয়ের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. জিয়াউর রহমান বলেন, আপনি তথ্যগুলো আমাকে দেন আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করছি বলে জানান।
এ ব্যাপারে নগরঘাটা ইউনিয় পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রফিকুল গাজী বলেন, ঘটনাটি সত্য। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে তারা কিন্তু দারোগা গিয়ে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলেও অদৃশ কোনো শক্তির কারনে আর এগুচ্ছেনা অভিযোগের কার্যক্রম। এমতবস্থায় যাতে গরীব মানুষটা সঠিক বিচার পাই সেজন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে পাটকেলঘাটা থানার অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, আমি তদন্ত করার জন্য সরোজমিনে গিয়ে কোনো বিদ্যুতের তার দেখিনি, লোকজন বলছে তারা বিদ্যুতের তার সরিয়ে নিয়েছে। তবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠে মহিবুল্লাহ অসুস্থ হয়েছেন এটা সত্য। অভিযোগটা কোন পর্যায়ে রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উভয় পক্ষ ১লা এপ্রিল (বুধবার) বসাবসি করবে। বসাবসি করে হয়তো একটা সমাধান হবে বলে জানান।