নগরঘাটায় আ.লীগের উদ্যোগে শোক দিবস পালিত

170

নিজস্ব প্রতিনিধি : আজ শোকাবহ ১৫ ই আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির শোকের দিন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদতবার্ষিকী।

শোক দিবস পালনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীরা জেলা শাখার-সভাপতি ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ , তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তালা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার , পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব নাজমুল হুদা , বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নগরঘাটা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিপু , সাংবাদিক রিকু ,বাংলাদেশ জাসদের তালা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক শাহিনুর রহমান শাহিন, সাংবাদিক জাকির হোসেন , সাইদুর জামান শুভ , এসআই কৃষ্ণ , এ এসআই ফারুক হোসেন , এ এসআই নিজাম , আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার শাহাদাত হোসেন , আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিলন ,  মফিজুল ইসলাম , আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও ইউপি সদস্যবৃন্দ।

১৫ই আগস্টের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুর ও শেখ হাসিনার জন্য দোয়া ও মোনাজাত করেন মাওলানা আব্দুস সবুর।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সংঘটিত হয়েছিল ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়। ৪৬ বছর আগে এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল।

আজ যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী পালনের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু ছাড়াও ১৫ আগস্ট রাতে ধানমণ্ডির বাড়িতে তার সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে তার জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল, এসবির কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও সেনাসদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হককে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মনির বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় হামলা করে তাকে ও তার কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং এক আত্মীয় রেন্টু খানকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার এবং নিকটাত্মীয়সহ ২৬ জনকে ওই রাতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় তারা প্রাণে বেঁচে যান।

বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।