নগরঘাটায় ভৌতিক স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার কথিত প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

258

অনলাইন ডেস্ক : তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নে নগরঘাটা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা নামে ভৌতিক সাইনবোর্ড গাছে ঝুলিয়ে রেখে চলছে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য!

এমনই অভিযোগ এলাকাবাসীর কথিত প্রধান শিক্ষক পরিচয় দানকারী রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে।

সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় নগরঘাটা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা নামে কোন মাদ্রাসার অস্তিত্ব ঐ ইউনিয়নে নেই । কোন মাদ্রাসা না থাকলে ও কথিত প্রধান শিক্ষক পরিচয় দানকারী রবিউল ইসলাম ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। তবে এ সব শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সময় মানা হয়নি কোনো সরকারি নিয়ম নীতি। ভুয়া নিয়োগ পত্র দিয়ে এ সব লোকদের কাছ থেকে রবিউল হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা।

প্রতিষ্ঠান না থাকলে ও কথিত প্রধান শিক্ষক তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে উঠিয়েছে সরকারি বই। এই বই গুলো কি ভাবে উঠালো তার কোন সঠিক তথ্য নেই শিক্ষা অফিসে। রবিউলের দাবি সে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মোট ১৩৫ সেট বই উঠিয়েছে তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে। শিক্ষার্থী তো দুরের কথা কোন প্রতিষ্ঠান না থাকলে  শিক্ষা অফিস কীভাবে দিলো এই বই?

এ ব্যাপারে তালা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের তালিকায় নগরঘাটা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা নামে কোন মাদ্রাসা নেই। রবিউল কি ভাবে বই সংগ্রহ করলো সেটা আমার জানা নেই। আমার অফিসের গার্ড সাইফুল ভালো বলতে পারবে।

সাইফুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জানা মতে  আমি ঐ মাদ্রাসায় কোন বই দেইনি। তবে ঐ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক পরিচয় দানকারী রবিউল ইসলাম কয়েক বার আমার কাছে এসেছিলো।

তালিকায় নাম না থাকায় আমি কোন বই ঐ মাদ্রাসায় দেইনি। বই বিতরণ রেজিষ্টার খাতায় নগররঘাটা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী নাম আছে কিনা তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান । রেজিষ্ট্রার খাতা দেখতে চাইলে তিনি বলেন স্যারের অনুমতি ছাড়া দেখানো যাবে না।

এলাকার সচেতন মহল যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চায় তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে যদি এই মাদ্রাসা কোন বই না দেয় তাহলে বই গুলো কি রবিউল ছাপাখানা থেকে ছেপে নিয়ে এসেছে?

রবিউলের দাবি সে এবছরের নতুন বই শিক্ষা অফিস থেকে নিয়ে এসেছে, আর শিক্ষা অফিস বলছে আমরা কোন বই দেইনি । তাহলে রবিউল ইসলামের দাবির  ‍পরিপেক্ষিতে এখনো কেন শিক্ষা অফিস তদন্ত করে দেখল না রবিউল বইগুলো কোথায় থেকে নিয়ে এসেছে এবং বই গুলো নিয়ে এসে কি করছে। যেহেতু এখানে কোন মাদ্রাসা নেই , নেই কোন শিক্ষার্থী তাহলে বইগুলো কি রবিউল কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছে? কোন মাদ্রাসা না থাকলে ও কেন গাছে  নগরঘাটা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছে।  এর উদ্দেশ্য কি?