নওগাঁর মান্দায় পুলিশের হেফাজতে থাকা ১ যুবকের মৃত্যুতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি!

11
লাল সবুজের কথা- Lal Sobujer Kotha

মাহবুবুজ্জামান সেতু, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় থানা পুলিশের হেফাজতে থাকা বাবু (৩০) নামের এক বিবাহিত যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্র এবং শনিবার মান্দা উপজেলাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নিহত বাবু ভাঁরশো ইউ’পির চেরাগপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের পুত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শক্রবার রাত ২ টার দিকে মান্দা থানা পুলিশের এসআই আরিফ এবং এএসআই রেজাউল দুজনে পরানপুর ইউ’পির বানিসর কালিতলা মাদ্রাসার সন্নিকটে বসবাসকারী মৃত জলিল দফাদারের বাড়িতে তার বৌ মা কর্তৃক মামলার প্রেক্ষিতে তার ছেলে সোহেল রানা ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী হওয়ায় তাকে আটক করার জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে তারা আসামীকে সহজে খুঁজে বের করতে বাড়িঘর তল্লাসি করবার সময় একটি ঘরের মধ্যে সোহেলের মা পারভীন আক্তার (৫৫) কে একই রুমে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

স্থানীয়রা জানায়, মেয়েটির চরিত্র খুব একটা ভালো না, মেয়েটির স্বামী আজ থেকে প্রায় ৭ বছর পূর্বে মারা যায়। তারপর থেকে মেয়েটি বেপোরোয়া ভাবে চলতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে গত প্রায় ২ মাস পূর্বে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক হয় ওই নিহত ব্যাক্তি বাবুর সাথে। সেই পরিচয় থেকে ধর্ম ভাইয়ের সম্পর্ক পাঁতে। এই সুযোগে তারা দুজনে অনৈতিক সসম্পর্কে জড়িয়ে যায়।

আর ওই দিন রাতে ধর্ম ভাইয়ের পরিচয় দিয়ে তারা দুজনে একই ঘরে অবস্থান নেয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে যে, ধর্ম ভাইয়ের সাথে পরকিয়ার কারনে বাড়ির কেউ তেমন সন্দেহ করতো না। মাঝে মাঝেই পারভীনের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। তবে ওই দিন নিহত ব্যাক্তি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবন করে বলে জানা গেছে। আর এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারনে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন বাবু। তবে ঘটনার আড়ালে আলাদা কোনো ঘটনা থাকতে পারে।তবে এখন পর্যন্ত কোন রকম অভিযোগ দায়ের না হওয়ার কারনে বিষয়টি অস্পষ্টই থেকে গেলো।

এ ব্যাপারে মান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, নিহত ব্যাক্তিটি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে আপত্তিকর অবস্থায় আটক হবার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর পর তার পরিবারের পক্ষথেকে কোনো প্রকার অভিযোগ বা মামলা দায়ের না করার কারনে নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। রিপোর্ট পাওয়ার পর ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসবে