এসএম বাচ্চু, তালা : দুনীর্তি ও অনিয়ম মাধ্যমে বিপুল অর্থ-বৃত্তের মালিক হয়ে ধরাকে সড়াজ্ঞান করে সার্জিক্যাল ক্লিনিককের মালিক বিধান চন্দ্র রায় এখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে রুপান্তরিত হয়েছে। নেই কোন নিয়মনীতির বালাই ও ক্লিনিক পরিচালনার আইনের প্রতি শ্রদ্ধা।
এদিকে কথিত ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়ের সাথে যুক্ত হয়েছেন সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলীয় হাইব্রিড নেতারা।
কথিত ডাক্তার বিধান ও তার সার্জিক্যাল ক্লিনিক এর ধারবাহিক দূনীর্তির ও অনিয়মের প্রতিবেদনে বের হয়ে এসেছে ঘোড়ার আগে গাড়ি চালানোর মত চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিজারিয়ানের নামে অবৈধ উপায়ে অর্থ উর্পাজন করতে গিয়ে সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া বাচ্চার সঠিক ভাবে দেখভাল না করার কারনে মারা গেছেন বাচ্চাটি।এমন খবর ধামাচাপা দিতে কথিত ডাক্তার বিধান ও সরকারী ডাক্তার চায়না অবলম্বন করেছেন বিভিন্ন কলাকৌশল।
তথ্য অনুসন্ধানে জানাযায়, গত ২০ শে এপ্রিল মঙ্গলবার সার্জিক্যাল ক্লিনিক নামক অর্থ উর্পাজন কারখানায় তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের জেঠুয়া(মালোপাড়া) গ্রামের নিমাই বিশ^াসের পুত্র দিনেশ বিশ^াসের স্ত্রী (২০) সিজার করতে আছেন।গর্ভে সন্তানের অবস্থান অনুযায়ী ৩টার দিকে সিজারের সময় নির্ধারণ করা হয়।কিন্তু সার্জিক্যাল ক্লিনিকের কতৃপক্ষের গাফিলতির কারনে ৩ টার সময়ের সিজার করা হয় আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিকে। সিজারের মাধ্যমে বাচ্চাটি ভূমিষ্ট হলে কিছুক্ষণ পরে বাচ্চাটি শারিরীক ভাবে অসুস্থ হয়ে পরে। অসুস্থ্যতার বিষয়টি ডাক্তার বিধানকে জানানো হলে তিনি বলেন, বাচ্চা সম্পুর্ন সুস্থ’্য আছে,আপনারা বাহিরে নিয়ে যেতে চাইলে নিতে পারেন! কিন্তু ভুমিষ্ট হওয়া বাচ্চাটি কোন প্রকার কান্নাকাটি সহ স্বাভাবিক সিনটম না পাওয়া কারনে পরিবার বাচ্চাটিকে নিয়ে সাতক্ষীরা সদরে পথে রওনা হন।তবে করোনা ভাইরাসের কারনে যোগাযোগ ব্যবস্থা যথাযথ না থাকায় এবং সার্জিক্যাল ক্লিনিক উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার না করায় বিভ্রান্তির মধ্য পরেন বাচ্চাটির পরিবার। তড়িঘড়ি করে বাচ্চাটিকে সাতক্ষীরা সদরে নিয়ে গেলে স্থানীয় ডাক্তাররা বাচ্চাটির মুখের ভিতর নালা জমে থাকার কারনে নি:শ^াস নিতে কষ্ট হচ্ছে বলে জানান। তাহলে বুঝা যায় যে, তালা সার্জিক্যাল ক্লিনিকের সেবাদানে অসহনীয় ক্রটি থাকার কারেন বাচ্চাটির অবস্থা সংকটপন্ন হয়েছে। সাতক্ষীরা সদরের চিকিৎসক মুখের নালা পরিষ্কার সহ অক্সিজেন দিয়ে খুলনা সদরে প্রেরণ করার জন্য রেফার করেন। বাচ্চাটি খুলনায় নিয়ে গিয়ে আইসিইউতে রাখার কিছুক্ষন পরে মৃত্যু বরণ করেন বলে জানান পরিবার।
এবিষয়ে বাচ্চাটির পিতা দিনেশ বিশ^াস বলেন, সার্জিক্যাল ক্লিনিকের সেবার মান অতি নগণ্য ও সময় মত আমার স্ত্রীকে সিজার না করা এবং বাচ্চাটির সঠিক ভাবে পর্যালোচনা করার মতন অভিজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় আমার বাচ্চাটি মারা গেল। আমি এদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে নিতে পারতাম। কিন্তু বাচ্চাটি চলে যাওয়ায় আমি ও আমার পরিবারের মানসিক অবস্থা ভালো নেই।আপনারা সাংবাদিক চাইলে সার্জিক্যাল ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কতৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সহয়তা করতে পারেন।
অভিযোগের বিষয়ে তালা সরকারী হাসপাতালের ডা: তানজিনা তাবাসুম চায়না বলেন, সিজারগুলো যেহেতু কয়েকদিন আগে করা হয়েছে সেহেতু আমি এবিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছিনা।আপনাদের তথ্যর দরকার হলে ক্লিনিকে আসুন আমি মুঠোফোনে কোন তথ্য দিব না।
সার্জিক্যাল ক্লিনিকের মালিক কথিত ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায় মোবাইল ফোনে বলেন,আমি খুবই অসুস্থ সময় করে আপনাকে ফোন দিব। এখন আমি কথা বলতে পারছি না বলে ফোনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
তালা সার্জিক্যাল ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির ধারাবাহিক প্রতিবেদন নিয়ে চলমান কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। এই কথিত ডাক্তার বিধান ও সার্জিক্যাল ক্লিনিকের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করায় সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।