মোঃ মামুন হোসেনঃ তালায় স্ত্রীর মর্যাদা, ক্ষতিপূরণের দাবী এবং নির্যাতন ও সম্ভ্রমহানির অভিযোগে এনে স্বামীর বিরুদ্ধে তালা প্রেসক্লাবে সংবাদ সন্মেলন করেছেন নাসরিন সুলতানা। গতকাল বুধবার (১৬ মে) বিকালে তালা উপজেলার বারুইহাটি গ্রামের আহম্মদ বিশ্বাসের কন্যা নাছরিন সুলতানা।তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত ২০১৫ সালের ৫ মার্চ একই গ্রামের লুৎফর শেখের ছেলে তালা বাজারের বাংলাদেশ বেকারির মালিক ছাত্তার শেখের সাথে ইসলামি শরিয়াত মোতাবেক তিন লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্যে বিয়ে হয়। বিয়ের অল্প দিনের মধ্যে জানতে পারি তার আরও একজন স্ত্রী, একজন পুত্র ও দুইজন কন্যা সন্তান রয়েছে। বিবাহের ছয় মাসের মধ্যে আমার বাপের বাড়ি থেকে ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য দুই লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টিসহ মানুষিক নির্যাতন করতে থাকে। আমার পিতাএকজন অসহায় দরিদ্র কৃষক হওয়ায় অনেক কষ্টে ধারদেনা করে তার যৌতুক হিসেবে বিভিন্ন সময়ে এক লাখ টাকা দেয়। এরপরও যৌতুক লোভী স্বামী আরও টাকা পাওয়ার জন্য প্রায় প্রতিদিন আমার সঙ্গে খারাপ আচারন, মারধরসহ অত্যাচার করতে থাকে। যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় একপর্যায়ে আমার সঙ্গে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি আমার অধিকার ফিরে পেতে খুলনা জজ কোর্টে মামলা করি কিন্তু অর্থ ও লোকবলের অভাবে মামলাগুলি তদারকি করতে না পারার সুযোগে আমার স্বামী অর্থের বলে আমার উকিল ও পেশকারকে ম্যানেজ করে মামলাগুলি দূর্বল করে ফেলেছে। এছাড়া সে আমাকে গ্রহণ করা বা আলোচনার মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ, আমার জীবন-যাপন, ভরণ-পোষণ ও সমাজে আমার সম্মান-মর্যাদা নষ্টসহ বিভিষিকাময় দুর্বিসহ নিশ্চিত অন্ধকার জীবনের পথে জোর করে ঠেলে দেওয়ার ক্ষতিপূরণ দেওয়াতো দুরের কথা আমাকে মেরে ফেলা ও গুম করার ভয়সহ প্রকাশ্য আমাকে অন্য পুরুষদের দ্বারা তুলে নিয়ে সরাসরি সম্ভ্রম নষ্টের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। এমতাবস্খায় আমি আমার সম্ভ্রম নষ্টসহ খুন, গুমের আশঙ্কায় আছি প্রতিনিয়ত। বর্তমান সরকার সকল ক্ষেত্রে নারীদের সম্মান-মর্যাদাসহ সমঅধিকার নিশ্চিত করেছে। নাসরিন সুলতানা সম্মেলনের মাধ্যমে তার উপর যে অন্যায়, জুলুম, হয়রানিসহ নির্যাতনের স্টীমরোলার চলছেতার সুবিচার ও ক্ষতি পূরণ পাবার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপের কামনা করেছেন।