তালায় প্রতারক কর্তৃক আশ্রয় দাতার সম্পত্তি আত্মসাৎতের চেষ্টা

11
লাল সবুজের কথা- Lal Sobujer Kotha

তালা প্রতিনিধি : তালায় আশ্রিত ব্যক্তি কর্তৃক আশ্রয় দাতার জমি প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে অন্যত্র বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ সহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে সালিস মিমাংসা হলেও কতিপয় কুচক্রী উক্ত সম্পত্তি অবৈধ ভাবে হস্তান্তরের নামে আত্মসাতের পায়তারা করছে। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার প্রতিকার পেতে ভুক্তভোগী সুব্রত ওরফে মধু বসু পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মধু বসু জানান, উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের নলতা বসু পাড়ার নলতা মৌজার জে এল নং-১৩৭, খতিয়ান নং- ১৭০, সাবেক দাগ-৩৯৭৮ এর ৪৭শতক সম্পত্তি (ভিপি হিসেবে রেকর্ডভূক্ত) পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত হয়ে তার পরিবার ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু এরইমধ্যে উপজেলার নাংলা গ্রামের মৃত অনন্ত্য ব্যানার্জীর ছেলে প্রতারক স্বপন ব্যানার্জী আশ্রিত পিতার দখল সুত্রে দাবী করে ওই জমি অবৈধ ভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে টাকা হাতানোর চেষ্টা শুরু করে। বিষয়টি জানতে পেরে জমি মালিক সুব্রত বসু স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ তালা থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করে প্রতিকার চান। কিন্তু প্রতারক স্বপন ব্যনার্জী ইউপি চেয়ারম্যান এবং তালা থানা পুলিশকে অপদাস্থ করে কোনও সালিসে হাজির হয়নি। বরং এলাকার কূচক্রীদের সহায়তায় প্রভাব বিস্তার করে ওই জমি হাতানোর চেষ্টা চালাতে থাকে। এতে বাধ্য হয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সুব্রত বসুর আহবানে খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রান্তিক নলতা স্কুল মাঠে এক সালিসী বৈঠকে সমস্যার সমাধান করা হয়।

সুব্রুত ওরফে মধু বসু জানান, পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া উক্ত জমি বিধি মোতাবেক আমি দখলীয় আছি। এছাড়া ভূলবশতঃ উক্ত জমি ভিপি হিসেবে রেকর্ডভূক্ত হওয়ায় আমি তা সংশোধনের জন্য বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা (১৪০৬/১২) দায়ের করি, যা বিচারাধিন রয়েছে। তিনি আরও জানান, ভূলবশতঃ ভিপি হিসেবে রেকর্ড হওয়া আমাদের উক্ত জমি প্রতারক স্বপন ব্যানার্জী নিজের জমি দাবি করে স্থানীয় মালেক শেখ’র কাছে বিক্রি করে। পরবর্তীতে সালিসী বৈঠকের যথাযথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মালেক গং উক্ত জমির দাবী ছেড়ে দেন।

ভুক্তভোগী সুব্রত বসু অভিযোগ করে বলেন, সালিস সভার মাধ্যমে সব সমস্যা মিটে গেলেও একটি মহল তাদের হীন স্বার্থ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে এখন বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এছাড়া প্রতারক স্বপন ও মালেক গংকে ব্যবহার কারে আমাদের নানান ভাবে হয়রানী করার চেষ্টা করছে।

সরেজমিন এলাকায় গেলে স্থানীয় কালিপদ বসু, শ্রীবাস বসু, পলাশ বসু, শক্তিপদ রায়ু সহ অনেকেই জানান, স্থানীয় ভূমিদস্যু আব্দুল মালেক সহ কতিপয় কুচক্রী আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে উক্ত ভিপি সম্পত্তি হস্তান্তরের নামে বিশৃংখলার পায়তারা করছে।

খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু জানান, দু’পক্ষকে ডেকে মিমাংসা করার চেষ্টা করেছি, যাতে কোন দাঙ্গা না হয়। এটি এনিমি সম্পত্তি যা মধু বসুর স্বর্গীয় পিতা কৃষ্ণপদ বসুর দয়ায় কুড়ে ঘর বেধে আশ্রয় নিয়েছিল অনন্ত্য নামের এক ঠাকুর। অনন্ত্যর মৃত্যুর অনেক পরে এসে তারই পুত্র স্বপন কিছু কুচক্রী ব্যক্তির ইন্দনে ঐ জমি বিক্রির পায়তারা করছে, যা আইনগতভাবে সম্পূর্ণ অবৈধ।