এস.এম মফিদুল ইসলাম : শত্রুতার জেরে এক হিন্দু পরিবারকে মারপিট করলে নিরাপত্তার কারণে মামলা করে বিপাকে পড়েছে একটি পরিবার। বর্তমানে তারা বাড়িছাড়া হয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছে বলে জানা যায়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, তালার আটারই গ্রামে সুনীল দাসের পরিবারটি শান্তিতে বসবাস করে আসছিল। পূর্বশত্রুতার জেরে একই গ্রামের মৃত তফেজ গাজীর পুত্রগণ ও তাদের সহযোগীরা এই পরিবারটিকে বিভিন্ন সময় নাজেহাল করে আসছে। এরই সূত্র ধরে ২৬ অক্টোবর ২০২০ সালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ছোট একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের উপর চড়াও হয়। এতে সুনীল দাসের পুত্র রিপন দাস (১৮) কে নিজ বাড়িতে এসে মারপিট করে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের গুরুতর আহত করে চলে যায়। শুধু মারপিট করেই ক্ষান্ত না হয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে ঐ পরিবারটি তালা থানায় একটি মামলা করে। মামলায় আটারই গ্রামের মৃত তফেজ গাজীর পুত্র আব্বাস গাজী (৪৮), আহাদ গাজী (৩০), মৃত হারান দাসের পুত্র বিষ্টু দাস (৫০) ও বিলূ দাসীর নাম উল্লেখ করে।
তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনত কুমার উভয় পরিবারকে মিমাংসার আশ্বাস দিলে তার কথা অমান্য করে একটি কল্পকাহিনী বানিয়ে মিথ্যাভাবে আদালতের মাধ্যমে মামলা করে। বর্তমানে মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে সুনীল দাসের পুত্রদ্বয় গৌতম দাস, রিপন দাস ও সাদ্দাম দাস পিতা সুনীল দাশ মাতা কচি দাস সহ পুরো পরিবারটি এখন অসহায়ত্ব জীবন যাপন করছে। আইনের দ্বারস্থ হয়েও সনাতন ধর্মালম্বী হওয়ায় বাদীপক্ষের অর্থের কাছে বারবার হেরে গিয়ে নির্ঘুম রাত যাপন করছে। তাই সুশীল সমাজ এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা করে হেনস্থা আর মামলার হয়রানি থেকে বাচতে প্রশাসন এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের প্রতি সহায়তা কামনা করেছেন পরিবারটি।